সিরাজগঞ্জে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন আহমেদ বাদী হয়ে গতকাল ৭০ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫০ জনের নামে মামলা করেন। একই সময়ে সংগঠনের জেলা সভাপতি আহসান হাবিব খোকা আরেকটি মামলা দেন। এতে ৪৯ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ দুই গ্রুপের ১২ জনকে আটক করেছে। সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, নিহত ছাত্রলীগ নেতা বিজয়ের স্মরণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকালে দলীয় কার্যালয়ে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে জেলা ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। এতে ৪৫ নেতা-কর্মী আহত হন। লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ। আহতদের মধ্যে ১৯ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে  ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ঘটনার পর রাতে অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা রুবেল হোসেন রনি, সালমানসহ উভয় গ্রুপের ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন শহরের বাজার স্টেশন এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক এনামুল হক বিজয় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর হামলায় আহত হন। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রবিবার সকালে তিনি মারা যান। এ নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এ অবস্থায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে শোকসভায় অংশগ্রহণ করা নিয়ে সংঘর্ষ বাধে।