শনিবার, ১১ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

বর্ষায় পুকুর খননের হিড়িক!

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বর্ষায় পুকুর খননের হিড়িক!

রাজশাহীর পুঠিয়ায় বর্ষা মৌসুমেও শুরু হয়েছে পুকুর খননের প্রতিযোগিতা। স্থানীয়দের অভিযোগ, সম্প্রতি কিছু পুকুর খননকারীরা হাই কোর্টের আদেশ এনেছেন। আবার কেউ হাই কোর্টের ভুয়া কাগজ দেখিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে রাতারাতি পুকুর খনন করছেন।                উপজেলা কৃষি সম্প্র্রসারণ অফিস বলছে, যে হারে পুকুর খনন করা হচ্ছে তাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ফসলি জমির পরিমাণ অর্ধেকেরও কম হয়ে যাবে। উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর জনস্বার্থে হাই কোর্টের ২৪৭৬/২০১৯ নম্বরে একটি রিট আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গত বছরের ১০ মার্চ কৃষি জমিতে পুকুর খনন না করতে আদেশ দেন। পাশাপাশি কোথাও পুকুর খনন কাজ চললে উপজেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পুকুর খনন বন্ধে উপজেলা প্রশাসন গত বছর ২৮ মার্চ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। অথচ গত মাসে উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন এলাকায় নতুন করে ১৮টি পুকুর খনন করা হয়েছে। এসব পুকুর খননে তাদের কাছে হাই কোর্টের আদেশ আছে বলে দাবি করেছেন খননকারীরা। যার খনন কাজ এখনো চলছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, মৎস্য ব্যবসায়ীরা স্থানীয় কৃষকদের বেশি টাকার বাৎসরিক ইজারার লোভ দেখিয়ে দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি করেন। পরে ওই ফসলি জমিগুলোতে পুকুর খননের আগে অনেকেই হাই কোর্টের আদেশ নিয়ে আসছেন। আবার কিছু মৎস্যচাষি আদালতের ভুয়া কাগজ সংগ্রহ করে প্রভাবশালীদের সঙ্গে বিশেষ চুক্তি করে রাতের আঁধারে একাধিক স্কেভেটারের মাধ্যমে পুকুর খনন করছেন। এলাকায় যত্রতত্রভাবে পুকুর খনন করায় বছরের বেশিরভাগ সময় বিলে পানি আবদ্ধ থাকে। এতে করে কৃষকদের প্রতিবছর শত শত বিঘা জমির ফসলহানি ঘটছে। শিলমাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল ও ভালুকগাছি ইউপি চেয়ারম্যান তাকবীর হাসান বলেন, পুকুরের মাটি বহনকারী গাড়ি গ্রামীণ সড়কগুলোতে দাপিয়ে চলছে।

সর্বশেষ খবর