করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে কর্মহীনদের আর্থিক সহায়তার নামের তালিকায় যশোরের শার্শা উপজেলায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরেজমিনে অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় শার্শা উপজেলায় ৮ হাজার ৭০০ কর্মহীন জনপ্রতি ২ হাজার ৫০০ টাকা পাবেন। এরমধ্যে প্রথম পর্বে পাবেন দুই হাজার ৭০০ জন। এ পর্বের যারা সহায়তা পাবেন তাদের নামের তালিকা যাচাই-বাছাই চলছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কর্মহীনদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য শার্শার ১১টি ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা নামের তালিকা তৈরি করেন। অভিযোগ আছে তালিকায় বেশির ভাগই ক্ষমতাসীন দলের কর্মী, ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের আত্মীয়-স্বজনদের নাম দেওয়া হয়। প্রকৃত কর্মহীনদের পরিবর্তে আছে বিত্তবান ও ব্যবসায়ীর নাম। জানা যায়, শার্শা উপজেলার যে তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে তার ৯০ শতাংশের সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই। যাদের নাম আছে তাদের অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে ঠিকানার মিল নেই। নেই মোবাইল ফোন নম্বর। শার্শার ডিহি ইউনিয়নে ৮০ জনের নামের পাশে দেওয়া হয়েছে ইউপি সদস্যের মোবাইল নম্বর। প্রায় সব ইউনিয়নের মেম্বাররা এ কাজ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। শার্শা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লাল্টু মিয়া বলেন, আর্থিক সহায়তা প্রদানের নামের তালিকা সরকারের নির্দেশনার আলোকে নিয়ম মেনে আবারো প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় আর্থিক সহায়তা প্রদানে কোনো অনিয়ম মানা হবে না। শার্শার ইউএনও পুলক কুমার মন্ডল বলেন, তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তা যাচাইবাছাই করে তাদের সিম কার্ডের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হবে। যাদের সিম কার্ড নেই তাদের ১০ টাকা জমা দিয়ে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।