শুক্রবার, ১৭ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

যে সড়কের উন্নয়ন হয় না ৩০ বছর

মোশাররফ হোসেন বেলাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

যে সড়কের উন্নয়ন হয় না ৩০ বছর

মনে হচ্ছে এটি কোনো নালা বা খালের চিত্র। না- বাস্তবে এটি ভাঙা সড়কে জমে থাকা পানির চিত্র। আর এমন গর্ত ও খানাখন্দে ভরা সড়কটি হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার। ১৫০ বছরের প্রাচীন ও প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। ৩০ বছরে উন্নয়নের ছোঁয়া না লাগা রাস্তাটির ইটের সলিং এখন মরণফাঁদ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরতলির চন্ডালখিল-গোকর্ণ পর্যন্ত মাত্র দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কটিতে গত ৩০ বছরে উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। রাস্তাটি এতোটাই বেহাল যে, এলাকাবাসীকে হেঁটে চলাচল করতে হয়। চন্ডালখিল গ্রামের বাসিন্দা নাছির মিয়া বলেন, যান চলাচলের অনুপযোগী সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছিল এরশাদ সরকারের আমলে। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এটিতে ইটের সলিং দেওয়া হয়। বছর খানেকের মধ্যে ওই সলিং ক্ষতবিক্ষত হয়ে এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। অথচ প্রথম শ্রেণির পৌরসভার বিধানে বলা আছে, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং এর নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। অথচ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। চন্ডালখিল সিরাজবাগ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি ওবায়দুল্লাহ আশরাফ বলেন, এই সড়ক নিয়ে দুঃখের শেষ নেই এখানকার বাসিন্দাদের।’ এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্বাচন এলে বারবার সড়কটি মেরামতের আশ্বাস দেন প্রার্থীরা। নির্বাচনের পরে আর কোনো জনপ্রতিনিধি খবরও নেয় না তাদের। গ্রামে কেউ অসুস্থ হলে তাকে শহরের হাসপাতালে নিতেও বেগ পেতে হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. কাউসার আহমেদ বলেন, এই মুহূর্তে সড়কটি মেরামতের কোনো আর্থিক সক্ষমতা নেই পৌরসভার। পরবর্তী মাসিক সভায় এই সড়ক নিয়ে আলোচনা করা হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র নায়ার কবীর বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শেষ হলে প্রকৌশলীদের দিয়ে সড়কটির প্রাক্কলন তৈরি করব। এরপর দরপত্র আহ্বান করা হবে।

 

সর্বশেষ খবর