শুক্রবার, ১৭ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

পাটের দাম নিয়ে শঙ্কায় চাষি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

পাটের দাম নিয়ে শঙ্কায় চাষি

রাজশাহীতে খেত থেকে উঠছে পাট। তবে দাম নিয়ে সংশয়ে কৃষক। সরকারের পাটকলগুলো বন্ধ। তাই পাট বিক্রি নিয়ে বেকায়দায় পড়তে পারে এমন দুশ্চিন্তা আছে কৃষকদের মধ্যে। তার ওপর রাজশাহীতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৬ হেক্টর বেশি জমিতে পাটের চাষাবাদ হয়েছে। আর গত বছরের তুলনায় ৯৫০ হেক্টর বেশি জমিতে পাটের চাষ হয়েছে বলে জানায় কৃষি অধিদফতর। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামসুল হক জানায়, রাজশাহী জেলায় এ বছর পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৪ হাজার ১৭০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু ২৬ হেক্টর বেড়ে চাষাবাদ হয়েছে ১৪ হাজার ৭৯৬ হেক্টর জমিতে। আর গত বছর ১৩ হাজার ৮৪৬ হেক্টর জমিতে পাটের চাষাবাদ হয়েছিল। তিনি জানান, পাটের চাষ প্রতিবছরই বাড়ছে। গত বছরের তুলনায় ৯৫০ হেক্টর বেশি জমিতে পাটের চাষ হয়েছে রাজশাহী জেলায়। দাম ভালো পাওয়ায় পাট চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা। জানা গেছে, গেল কয়েক বছর পাটের ফলন ও দাম ভালো ছিল। তাই লাভের মুখ দেখতে এ বছর আবাদের পরিমাণও বাড়িয়েছিল কৃষক। আশানুরূপ বৃষ্টি হওয়ায় বর্তমানে পাট কাটা, জাগ দেওয়ায় কোনো সমস্যা নেই। তবে এখনো বাজারে কৃষকের পাট আসতে শুরু করেনি। এরই মধ্যে দাম নিয়ে সংশয়ে আছেন কৃষকরা। রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা হাটের পাইকারি ক্রেতা শফিকুল ইসলাম জানান, পাট এখনো বাজারে উঠতে শুরু করেনি। পাট উঠলে বোঝা যাবে দাম কেমন হবে। সরকারি পাটকলগুলো বন্ধ। তবে পাটের দাম বলা যাচ্ছে না কেমন হবে। পবা উপজেলার দুয়ারির কৃষক নুরুল ইসলাম জানান, এক বিঘা জমিতে পাট উৎপাদনে হাল চাষ, সার, বীজ কিনতে ব্যয় হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার টাকা। কমপক্ষে ৩ বার জমিতে নিড়ানি দিতে ১৫ জন মজুরকে দিতে হয়েছে ৩ হাজার টাকা। পাট কাটতে আরও ২ হাজার টাকা ও ধুতে লাগছে ২ হাজার টাকা। তারপর এবার সরকারের পাটকলগুলো বন্ধ। পাট কিনবে কারা? আরিফুল ইসলাম নামের আরেক কৃষক জানান, এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে একজন কৃষকের ব্যয় হয় ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা। অথচ এক বিঘা জমিতে বড়জোর পাট পাওয়া যায় ৮ মণ। এবার কত টাকা দরে বিক্রি হবে পাট এমন দুশ্চিন্তায় আছেন তারা। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক শামসুল হক জানান, পাটের দাম ভালো থাকায়, কয়েক বছর থেকে পাটের আবাদ বেড়েছে। সরকারি পাটকলগুলো বন্ধ। তবুও পাট বিক্রিতে কৃষকের সমস্যা হবে না। কারণ বেসরকারি পাটকলগুলো আছে। এছাড়া বিদেশে পাটের চাহিদা আছে। কৃষকদের হতাশ হওয়ার কারণ নেই।

সর্বশেষ খবর