শিরোনাম
রবিবার, ১৯ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

কষ্টে দিন কাটছে চরের সাড়ে তিন লাখ শিশুর

নজরুল মৃধা, রংপুর

উত্তরের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা, করতোয়া, আত্রাইসহ শতাধিক নদ-নদী। এ সব নদীতে ছোট-বড় মিলিয়ে চরের সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। করোনা পরিস্থিতিতে চরে বসবাসকারী প্রায় সাড়ে তিন লাখ শিশুর কষ্টে দিন কাটছে। এসব চরের ১৫ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ১০ লাখ দরিদ্রসীমার নিচে বাস করছে। অধিকাংশ অভিভাবকের নেই শিশুদের পুষ্টি বিষয়ে সচেতনতা। জানা যায়, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে সাতটিই তিস্তা নদী বেষ্টিত। এখানে ছোট বড় মিলিয়ে চর রয়েছে ৩৫টি। চরগুলোতে ৩০ হাজারের বেশি পরিবারের বাস। প্রতিটি পরিবারে গড়ে চারজন করে হলে এক লাখের বেশি মানুষের বাস গঙ্গাচড়ার চরাঞ্চলে। এর ২৫ শতাংশই শিশু। এসব শিশুর ৮০ শতাংশই করোনা দুর্যোগের কারণে পুষ্টি ও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর ও ছাওলা ইউনিয়ন নদী ভাঙন ও বন্যাদুর্গত এলাকা হিসেবে পরিচিত। ওই দুই ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে বসবাসরত ১৮ হাজার পরিবারের ২০ হাজার শিশুরও একই অবস্থা। কাউনিয়া উপজেলার চরাঞ্চলগুলোর চিত্রও একই। সেখানে প্রায় ১০ হাজার শিশুও পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। গাইবন্ধা জেলায় ছোট বড় মিলিয়ে চর রয়েছে ১৪০টি। এ সব চরে এক লাখের  বেশি মানুষ বাস করে। এর ২০ শতাংশ শিশু। কুড়িগ্রাম জেলাকে ঘিরে রেখেছে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমারসহ কয়েকটি নদী। এ সব নদীর বুকে জেগে উঠেছে প্রায় ২০০ চর। একই অবস্থা লালমনিরহাট, বগুড়া, পাবনা ও সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন চরের শিশুদের। রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘সরকারিভাবে চরের শিশুদের পুষ্টি বিষয়ে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। অনেক অভিভাবকই সন্তানের পুষ্টির বিষয়ে উদাসীন।’

সর্বশেষ খবর