শনিবার, ২৫ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

টিপসই আছে ১৮ মাসের চাল পাননি একবারও

প্রতারণার শিকার ১২৪ ভিজিডি কার্ডধারী

শেরপুর প্রতিনিধি

প্রতিবারই চাল তুলে নেওয়ার টিপসই আছে কিন্তু ১৮ মাস ধরে ভিজিডি চাল পাননি ১২৪ কার্ডধারী। শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের এই গরিবদের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান আয়ূব আলী ফর্সার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা-ইউএনও তদন্ত কমিটি গঠন করছেন। এ ১২৪ কার্ডধারী প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল পাওয়ার কথা। কে বা কারা তাদের চাল তুলে নিচ্ছে তা-ও জানেন না তারা। জানা গেছে, ওই এলাকার ভিজিডি কার্ডের তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্বে ছিলেন ঝিনাইগাতি উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ফুল্লরা ইয়াসমিন। যাচাই-বাছাই শেষে ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের উপস্থিতিতে মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ১৮ মাস আগে ২২৯ জনের কার্ড বুঝিয়ে দেন। এর মধ্যে ১০৫ জন উপস্থিত থেকে কার্ড নিয়ে যান। বাকি ১২৪ জন উপস্থিত ছিলেন না। মেম্বারদের আপত্তি সত্ত্বেও এ ১২৪ জনের কার্ড পরে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে চেয়ারম্যান লিখিত দিয়ে তার হাতে রেখে দেন। এরপর প্রতি মাসে সরকারের কাছ থেকে চেয়ারম্যান ২২৯ জনের নামে নির্ধারিত ৬ হাজার ৮৭০ কেজি চাল তুলেছেন। বিতরণ করা হয়েছে ১০৫ জনের মধ্যে ৩ হাজার ১৫০ কেজি। স্থানীয় এক মেম্বারের মাধ্যমে সম্প্রতি এসব কার্ডের তথ্য প্রকাশ পায়। ওই মেম্বার জানান, ১২৪টি কার্ডের চাল চেয়ারম্যান প্রতি মাসে আত্মসাৎ করেন। আর নেওয়া হয় ভুয়া টিপসই। ইউএনওর কাছে কার্ড আছে অথচ চাল পান না এমন ১২৪ জনের পক্ষে আটজন লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্তকালে ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদের কাছে চাল না পাওয়ার বিষয়টি জানালে তিনি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান আয়ূব আলী ফর্সা বলেন, চাল সবাই পায়। সামনে নির্বাচন তাই প্রতিপক্ষ আমাকে বিতর্কিত করতে চায়। ইউএনও রুবেল মাহমুদ জানান, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে ব্যবস্থা।

 

সর্বশেষ খবর