রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

লাকসাম দুশ্চিন্তায় খামারিরা

ফারুক আল শারাহ, লাকসাম

লাকসাম দুশ্চিন্তায় খামারিরা

চলমান করোনা পরিস্থিতি বৈরি আবহাওয়ার কারণে কোরবানির গরু বিক্রি নিয়ে এবার চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বৃহত্তর লাকসামের গরু খামারি ও ব্যবসায়ীরা। লোকসান পুষিয়ে নিতে সরকারের কাছে প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন তারা। জানা যায়, করোনা পরিস্থিতিতে কুমিল্লা জেলার সব উপজেলায় কোরবানির পশুর হাট কমিয়ে আনা হয়েছে। জেলার বৃহত্তর লাকসামে (লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও নাঙ্গলকোট) হাটের সংখ্যা গতবারের চেয়ে প্রায় অর্ধেক কমানো হয়েছে। করোনায় স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এবার নাঙ্গলকোট ৩২টি, লাকসাম ২১টি ও মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ২১টি পশুর হাট বসছে। একদিকে কোরবানির পশুর হাট প্রায় অর্ধেকে নেমে আসা অন্যদিকে করোনা ঝুঁকি এবং বৈরি আবহাওয়ার কারণে কোরবানির হাটের ওপর ভরসা করতে পারছেন না খামারিরা। তাই ধারদেনায় বড় করা গরুগুলোকে সামান্য লাভে কিংবা কিছুটা লোকসানে হলেও বিক্রির চেষ্টা করছেন তারা। একাধিক খামারির সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

অধিকাংশ খামারি চলমান ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারের কাছে প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন।

করোনা পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় নিয়ে কুমিল্লায় অ্যাপস চালু করা হয়েছে। অ্যাপসে পশু সম্পর্কিত সব ডাটা সংরক্ষণ রয়েছে। জনসাধারণকে এ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর