বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

তিস্তার ভাঙনে দিশাহারা ৬৩ চরের মানুষ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

তিস্তার ভাঙনে দিশাহারা ৬৩ চরের মানুষ

লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বর্ষার শুরু থেকেই ভয়াল রূপ ধারণ করেছে তিস্তা। তীব্র ভাঙনে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার ৬৩ চরের হাজারও পরিবার এখন দিশাহারা। চোখের সামনে বসতভিটা হারিয়ে কাঁদছে মানুষ। বন্যার পানি নামতে শুরু করায় বেড়েছে ভাঙনের তীব্রতা। চোখের সামনে নদীতে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, ফসলি জমি, বাঁধ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদ। ঝুঁকিতে রয়েছে সলেডি স্প্যার বাঁধসহ সব বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। অনেকে রাস্তার পাশে বা বাঁধে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ভাঙনকবলিতদের জন্য সরকারিভাবে সাত হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের। হাতীবান্ধা উপজেলার সির্ন্দুনা ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন জানান, চর সির্ন্দুনা গ্রামের দুই শতাধিক পরিবারে ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। পরিবারগুলো বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে অন্যের জমিতে আশ্রায় নিয়েছেন। সিংঙ্গীমারী ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু জানান, তিস্তার ভাঙনের কাছে জনগণের মতো আমিও অসহায়। একটি স্থায়ী বাঁধের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউপির বাসিন্দা বাবুল হোসেন জানান, আমরা চরবাসী কিছুই চাই না, শুধু একটা মজবুত বাঁধ চাই। যাতে আর ঘরবাড়ি হারাতে না হয়। লালমনিরহাট জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় জানিয়েছে, চলতি জেলায় ৮৯১ পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছেন। জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, ভাঙনের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জিও ব্যাগ দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তিস্তা নদী খনন করে বাঁধ নির্মাণের একটি প্রকল্প দেওয়া আছে। তা অনুমোদন হলে তিস্তাপাড়ের মানুষের দুঃখ ঘুচবে।

সর্বশেষ খবর