শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

রাস্তা দখল করে বাজার পার্কিং

চলাচলে ভোগান্তি, ঘটছে দুর্ঘটনা

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

রাস্তা দখল করে বাজার পার্কিং

শ্রীপুরের মাওনা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দখল করে বসছে দোকান

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা এলাকার উভয়পাশে এক কিলোমিটার ফুটপাথে বসানো হয়েছে দোকানপাট। গড়ে তোলা হয়েছে ট্রাক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও টেম্পোস্ট্যান্ড। এসব স্থাপনা থেকে পার্কিংয়ের নামে আদায় করা হচ্ছে চাঁদা। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা উড়াল সেতুর দক্ষিণের সীমানা থেকে উত্তরের সীমানা পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে রয়েছে পাঁচ ফুট প্রশস্ত ফুটপাত। অথচ সেই ফুটপাত পথচারীদের ব্যবহারের সুযোগ নেই। নানা ধরনের দোকান বসার কারণে কোথাও পা ফেলার উপায় নেই। এ দৃশ্য কেবল মাওনা চৌরাস্তায়ই নয়, মহাসড়কের ভবানীপুর, বাঘের বাজার, মাস্টারবাড়ি, এমসি বাজার, নয়নপুর এবং জৈনা বাজার এলাকারও একই অবস্থা। ওইসব বাজারের একাধিক বড়, মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, মহাসড়ক তথা সড়ক ও জনপথের জায়গায় তারা ব্যবসা করেন। ব্যবসার ধরন ও আকার ভেদে ৩০ থেকে ৬০ হাজার টাকা জামানত, ৩-৬ হাজার টাকা মাসিক ভাড়া এবং প্রতিদিন ২৫ থেকে ৫০ টাকা খাজনা দেন। মহাসড়কের কোনো কোনো অংশে প্রতিনিয়ত গাড়ি পার্কিং করা হচ্ছে। এতে পথচারী ও যানবাহনের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। নিয়মিত ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়ক ও ফুটপাত দখলের ব্যাপারে ব্যবসায়ী এবং বাজার ইজারাদার পরস্পরকে দোষারোপ করছেন। প্রশাসনের দাবি, নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। মহাসড়কের কোনো অংশ ইজারা দেওয়া হয়নি। ট্রাক শ্রমিক ফেডারেশন মাওনা আঞ্চলিক শাখার সভাপতি ও শ্রীপুর পৌরসভার কাউন্সিলর হাবিবুল্লাহ জানান, পণ্যবাহী ট্রাক পার্কিংয়ের জন্য কোনো নির্ধারিত জায়গা বরাদ্দ নেই। সাধারণত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই পাশেই ট্রাক পার্কিং করা হয়। বহুবার শ্রীপুর পৌরসভা ও জেলা প্রশাসকের কাছে মৌখিকভাবে ট্রাকস্ট্যান্ডের জন্য জায়গা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি। মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি এআরএম আল মামুন জানান, মাওনা চৌরাস্তা কাঁচা বাজারের জন্য মহাসড়কে গাড়ি পার্কিং বাড়ছে। সড়কের উপর এবং ফুটপাত থেকে উচ্ছেদ করার কিছুক্ষণ পরই আবার দোকান সাজিয়ে বসে। এ সব বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়রসহ সংশ্লিলষ্টদের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল জাকী বলেন, মহাসড়কের কোনো জায়গা উপজেলা প্রশাসন থেকে বাজার বসানোর জন্য ইজারা দেওয়া হয়নি। মহাসড়কে বাজার বসানো আইনবিরোধী। আমরা নিয়মিত মহাসড়কে বসা দোকানপাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আসছি।

সর্বশেষ খবর