শনিবার, ৮ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

বাংলাবান্ধায় পাথর আমদানি বন্ধ শ্রমিকদের মানবেতর জীবন

সরকার হায়দার, পঞ্চগড়

দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধায় পাথর আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। পাথর আমদানি নির্ভর এই বন্দরে পাথর বোঝাই ট্রাক প্রবেশের সময় সীমা নির্ধারিত থাকায় ভারতের রপ্তানিকারকদের লোকসান হচ্ছে- এই অভিযোগে তারা পাথর রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে বাংলাবান্ধায় ব্যবসায়ী, শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট অন্যরা বেকার হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ৮০ দিন বন্ধ থাকার পর গত ১৩ জুন এই বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কার্যক্রমের সময় বেঁধে দেওয়া হলেও পাথরবোঝাই ট্রাক প্রবেশের সময় সীমা নির্ধারণ করা হয় দুপুর ১২টা পর্যন্ত। জেলা প্রশাসন থেকে মাত্র ১০০ ট্রাক পাথর আমদানি করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়। ভারতের ফুলবাড়ি এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানায়, বাংলাদেশের স্থলবন্দরে ভারতীয় ট্রাক প্রবেশের সময়সীমা  দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়ার কারণে ১২ টার পর অনেক ট্রাক আটকা পড়ে যায়। বিকাল ৪টার মধ্যে পাথরবাহী ট্রাকসমূহ আনলোড করে ভারতে প্রবেশ করতে পারছে না। ফলে রপ্তানিকারকদের লোকসান গুনতে হয়। এই অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জামির বাদশা মুঠোফোনে জানান, অন্যান্য পোর্টের মতো বাংলাবান্ধা স্থল বন্দরের সময়সীমা নতুন করে নির্ধারণ না করলে পাথর রপ্তানিকারকরা অনীহা প্রকাশ করছে। অন্যান্য পোর্টে ট্রাক প্রবেশে কোনো সময়সীমা বা সংখ্যা নির্ধারণ নেই। এ বিষয়ে বাংলাবান্ধা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান জানান, বাংলাবান্ধা বন্দরটি পাথরনির্ভর। পাথর আমদানির ওপর এখানকার ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই জড়িত। সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পায় । কিন্তু সময় নির্ধারণ করায় পাথর আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। এমনিতেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে কাজ কাম কমে গেছে। তাই এই বন্দরে বেকারত্ব দেখা দিয়েছে। পঞ্চগড় আমদানি রপ্তানিকারক অ্যাসেসিয়শনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা জানান, দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরে ট্রাক প্রবেশের সময়সীমা ৪টা পর্যন্ত থাকলেও বাংলাবান্ধায় সময়সীমা দুপুর ১২ টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু ভারতীর ট্রাক প্রবেশের সময়সীমা সংকীর্ণতার কারণে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা পাথর রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। তবে আমাদের স্থানীয় প্রশাসন যদি বিষয়টি একটু খতিয়ে দেখেন তাহলে সরকারের যেমন রাজস্ব¡ বাড়বে ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হবে। তবে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পোর্ট ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, ঈদের ছুটি শেষে  বন্দরে আমদানি-রপ্তানি চালু হয়েছে এবং পাথর বাদ দিয়ে বাকি সব পণ্য আনদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে।        

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান এ ব্যাপারে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর