শনিবার, ৮ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

হালতি বিল যেন আরেক কক্সবাজার

নাসিম উদ্দীন নাসিম, নাটোর

হালতি বিল যেন আরেক কক্সবাজার

হালতি বিলে ডুবন্ত সড়কে পর্যটক -বাংলাদেশ প্রতিদিন

নাটোরের হালতি বিলের পাটুল ঘাট যেন আরেক মিনি কক্সবাজার। প্রতিদিন এখানে আসেন শত শত প্রকৃতি-পিয়াসী মানুষ। বিলের ডুবোপথে হেঁটে বেড়ানো, সাঁতার কাটা আর নৌকা ভ্রমণে দিন পার করেন তারা। আধুনিকতার সামান্য ছোঁয়ায় এ স্থানটি হতে পারে পূর্ণাঙ্গ পর্যটন কেন্দ্র। শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরের এই বিল বর্ষায় সাগরের মতো দেখায়। জল ছুয়ে আসা বাতাস, আর তীরে আছড়ে পড়া ঢেউ মুগ্ধ করে দর্শনার্থীদের। বছরের অন্য সময়ও এই বিল থাকে জলেভরা। কিছুদিন আগে নির্মাণ করা হয়েছে ডুবোসড়ক। যা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। এই বিল বর্ষা মৌসুমে সমুদ্রের রূপ ধারণ করে। এ সময় বিলের ভিতরের গ্রামগুলো দেখতে দ্বীপের মতো মনে হয়। তবে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার অভাবসহ যাত্রী ছাউনির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকার অভিযোগ রয়েছে দর্শনার্থীদের। বিশালায়তনের চলনবিলের একাংশ এই হালতি বিল। বর্ষায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ‘মিনি কক্সবাজার’ নামে পরিচিত এই বিল দেখতে আসেন হাজার হাজার মানুষ। কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইকবাল জানান, এখানকার নৈসর্গিক সৌন্দর্যে কক্সবাজারের আমেজ অনুভব করছেন তারা। তবে এবার অন্যবারের তুলনায় বিলভ্রমণে নৌকায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। জনপ্রতি ৫০ টাকার ভাড়া ১০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। নৌকার মাঝি আবদুল লতিফ শাহ আলম বলেন, এবার ঘুরতে আসা মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। সে তুলনায় নৌকা কম। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়েই নৌকা চালাতে হচ্ছে। যারা দিনভর বিলে ঘুরছেন তাদের কাছ থেকে কিছু বাড়তি টাকা নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সমাজসেবক আকতার হোসেন বলেন, বিলের মধ্যে ডুবন্ত সড়ক নির্মাণের পর থেকেই এখানকার অর্থনৈতিক চিত্র পাল্টাতে শুরু করেছে। দিনমজুররা এখন বছরের অর্ধেক সময় চাষাবাদ এবং বাকি সময় নৌকা চালিয়ে ভালোমতোই জীবন-যাপন করছেন। অনেকেই বিল পাড়ে দোকান বসিয়ে বাড়তি আয় করছেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহরিয়াজ বলেন, বর্ষার সময় নাটোরের হালতি বিল ও চলনবিলে হাজার হাজার পর্যটক আসেন নৌকাভ্রমণ করতে। হালতি বিলের পাটুল ঘাট এলাকাকে পর্যটন সুবিধার আওতায় আনতে বেশকিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর