রবিবার, ৯ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

এখনো স্বাভাবিক হয়নি পাহাড়

নেই পর্যটক, ক্ষতির মুখে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

এখনো স্বাভাবিক হয়নি পাহাড়

রাঙামাটির একটি পর্যটন স্পট -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঈদুল আজহার পর খোলা হয়েছে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্র। তুলে নেওয়া হয়েছে সব নিষেধাজ্ঞা। তবুও আগ্রহ নেই পর্যটকের। বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। পর্যটন কর্তৃপক্ষ  বলছে, গত চার মাসে করোনার কারণে পর্যটন করপোরেশনের ঘাটতি হয়েছে এক কোটি ১৫ লাখ টাকা। যা চলতি বছর পূরণ করা সম্ভব না। পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের রয়েছে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্য। যার কারণে এ অঞ্চলের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বেশি। দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের সেবায় এখানে গড়ে উঠেছে ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এতে কর্মসংস্থান হয়েছে হাজারো মানুষের। বৈশি^ক মহামারি করোনার কারণে  বন্ধ হয়ে যায় পার্বত্যাঞ্চলে পর্যটক আগমন। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে এ সব প্রতিষ্ঠান। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অনেকে। রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স ব্যবস্থাপক সৃজান বিকাশ বড়ুয়া জানান, গত চার মাসে রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ঘাটতি প্রায় এক কোটি ১৫ লাখ টাকা। এছাড়া আয় না থাকায় বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে ২৫ লাখ টাকা। পৌরকর ২০ লাখ টাকা বকেয়া। বছরের অর্ধেকটা সময় আয়হীন কেটেছে। বাকি দিনগুলো এভাবে কাটলে পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। একই কথা জানান পর্যটন ট্যুরিস্ট বোর্ড মালিক সমিতির নেতা  রমজান আলী। তিনি বলেন, গত জানুয়ারি থেকে একেবারে কর্মহীন ট্যুরিস্ট বোর্ড চালকরা। পর্যটক না থাকায় আয় রোজগার বন্ধ।

করোনাকালে পাহাড় সেজেছে নিজস্ব রূপে। দূষণের বেড়াজাল থেকে মুক্ত হয়েছে জীববৈচিত্র। প্রকৃতির এ রূপবৈচিত্র্য দেখে আবারও আশায় বুক বেঁধেছেন স্থানীয়রা। হ্র্রদ-পাহাড়ে বিস্ময়কর প্রাকৃতিক  সৌন্দর্য দেশে শুধু রাঙামাটিতেই দেখা যায়। প্রকৃতির এমন রূপবৈচিত্র্য হাতছানি দেয় ভ্রমণপিপাসুদের। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসবে পর্যটক। তাদের বরণ করে নিতে চলছে হোটেল মোটেলগুলোতে প্রস্তুতি। হোটেল, মোটেল ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে বেড়েছে কর্ম ব্যস্ততাও।

সর্বশেষ খবর