সোমবার, ২৪ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

ধুনটে হাট-বাজারে রোপা আমন চারা বিক্রির ধুম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

ধুনটে হাট-বাজারে রোপা আমন চারা বিক্রির ধুম

ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী হাটে ধানের চারা বিক্রির অপেক্ষায় এক কৃষক -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ধুম পড়েছে রোপা-আমন ধান আবাদের। এ কারণে উপজেলার হাট-বাজারে ব্যাপক কেনা বেচা হচ্ছে ধানের চারা। বৃষ্টির কারণে অনেক বীজতলা ডুবে যাওয়ায় ধানের চারার দামও বেড়েছে। জানা যায়, এই অঞ্চলে বর্ষা মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় সেচ ছাড়াই কৃষকরা রোপা আমন চাষ করেন। জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত এই রোপা আমন চারা লাগানো হয়। উপজেলার চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকেরা দল বেঁধে ধানের চারা লাগাচ্ছেন। কৃষক আলাউদ্দিন ও আজিবর রহমান জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টিতে নিচু জমি তলিয়ে অনেকের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া এ বছর ধানের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় চারার দামও বেশি। কৃষক ও বেপারীরা বিভিন্ন জাতের ধানের চারা নিয়ে হাটে এসেছেন। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরাও দূর-দূরান্ত থেকে হাটে এসে চারা সংগ্রহ করছেন। ধানের চারা বিক্রেতা মজিবর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে প্রতিবিঘা জমির জন্য ধানের চারা বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৭০০ টাকা পর্যন্ত। হাটে স্বর্ণা-৫, ব্রি-ধান ৪৯, ব্রি-ধান ৫১, ব্রি-ধান ৫২, পরশ ও রঞ্জিতসহ নতুন নতুন বিভিন্ন জাতের চারা বিক্রি হচ্ছে। রাঙ্গামাটি গ্রামের কৃষক রতন মন্ডল বলেন, এক বিঘা জমির জন্য স্বর্ণা-৫ ধানের চারা কিনেছি এক হাজার ৪০০ টাকায়। গত বছর এই ধানের চারাই ৯০০ টাকায় কিনেছিলাম। ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মশিদুল হক জানান, চলিতি মৌসুমে উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ১৫ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের চারা রোপণ করেছেন কৃষক। আগামী দু-এক সপ্তাহের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর