শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

মা কারাগারে বাবা পলাতক নির্ঘুম রাত কাটছে ৪ শিশুর

শিশুদের ঝগড়ার জের

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

মা কারাগারে বাবা পলাতক নির্ঘুম রাত কাটছে ৪ শিশুর

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় নিজ বাড়িতে মা-বাবার ছবি হাতে তাদের শিশুসন্তান ও দুই স্বজন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভূমখারা এলাকায় ‘মিথ্যা’ মামলায় জেলহাজতে নুরজাহান বেগম নামে এক নারী। দুই শিশুর ঝগড়ার জেরে হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। মামলায় আসামি হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তার স্বামী ইয়াছিন ছৈয়াল। বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে আতঙ্ক আর শঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটছে এ দম্পতির চার সন্তানের।

নড়িয়া থানা ও স্থানীয় গ্রামবাসী জানায়, ভূমখারা গ্রামের ইয়াছিন ছৈয়াল চট্টগ্রামে ফেরি করে কাপর বিক্রি করেন। চার শিশু সন্তান নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন তার স্ত্রী। গত ৩ আগস্ট নুরজাহানের ছেলে মজনু (৮) ও মোজাম্মেলের (৯) সঙ্গে প্রতিবেশী সালাম ব্যাপারীর ছেলে আবদুল আহাদের (১৪) ঝগড়া হয়। ঝগড়ার সময় হাতাহাতিতে আহাদ মাথায় আঘাত পায়। এর জেরে ওই দিন আহাদের বাবা লোকজন নিয়ে মজনু, মোজাম্মেল, তার মা নুরজাহান, দুই বোন বিথী ও সাথীকে মারধর করেন। এ ঘটনার দিন রাতেই নুরজাহান নড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা নথিভুক্ত করেনি। উল্টো পুলিশসহ স্থানীয় কিছু ব্যক্তি বিষয়টি মীমাংসার জন্য নুরজাহানকে চাপ দিতে থাকে। তিনি মীমাংসায় রাজি না হলে ২১ আগস্ট সালামের স্ত্রী শিউলি নড়িয়া থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, নুরজাহান ও তার স্বামী ইয়াছিন ছৈয়াল আবদুল আহাদকে মাথায় কুপিয়ে জখম করেন। ওই রাতেই নড়িয়া থানা পুলিশ নুরজাহানকে গ্রেফতার করে পরদিন কারাগারে পাঠায়। গত মঙ্গলবার ওই গ্রামে গিয়ে জানা যায়, নুরজাহানের চার শিশু সন্তান ভয়ে সব সময় ঘরে বসে থাকে। বাবা-মায়ের জন্য কান্না করে। আতঙ্কে রাতে জেগে থাকে। ইয়াছিন ছৈয়াল মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি চট্টগ্রামে ফেরি করে কাপর বিক্রি করি। ঘটনার দিন আমি এলাকায় ছিলাম না অথচ আমাকেও আসামি করা হয়েছে। নড়িয়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, নুরজাহান যে অভিযোগ করেছিল তাতে মারধরের কথা উল্লেখ ছিল। আর শিউলীর মামলায় তার ছেলের মাথায় কোপানোর অভিযোগ ছিল। এ কারণে শিউলীর মামলা নথিভুক্ত করে নুরজাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন ওই ঘটনার সঙ্গে নুরজাহান জড়িত ছিল কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে।

সর্বশেষ খবর