মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

পাঁচ নবজাতকের কাউকে বাঁচানো গেল না

লাকসাম প্রতিনিধি

কুমিল্লার লাকসামের একসঙ্গে জন্ম নেওয়া পাঁচ সন্তানের কাউকে বাঁচানো যায়নি। লাকসাম উপজেলার মিজানুর রহমানের স্ত্রী শারমিন গত ১২ আগস্ট পাঁচ সন্তান জন্ম দেন। নবজাতকদের ওজন কম হওয়ায় চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় রওয়ানা হলে অক্সিজেনের অভাবে পথে এক ছেলে ও এক মেয়ে মারা যায়। অপর তিন শিশুকে কুমিল্লা মডার্ন হাসপাতালের ইনকিউবেটরে রাখা হয়। ব্যয়বহুল চিকিৎসা হওয়ায় ১৫ আগস্ট তাদের পাঠানো হয় ঢাকা শিশু হাসপাতালে। সেখানে সিট সঙ্কটের কারণে তাদের ভর্তি করা হয় ধানমন্ডির উইমেন্স অ্যান্ড চিলড্রেন জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে ১৬ আগস্ট রাতে আরও এক ছেলে মারা যায়। কয়েকদিন চিকিৎসার পর আর্থিক সঙ্কটের কারণে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয় বাকি দুটি শিশুকে। কয়েকদিন চিকিৎসা চলার পর এক দিনের ব্যবধানে অন্য দুই নবজাতকও মৃত্যুবরণ করে। মিজানুর রহমান জানান, মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে সামান্য যা উপার্জন করি তা দিয়ে কোনোরকম সংসার চলে। স্ত্রীর পাঁচ সন্তান জন্ম নেওয়ায় পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত হই। সন্তানদের বাঁচাতে ধারদেনা করে ৩ লাখ টাকা চিকিৎসায় ব্যয় করেও একটি সন্তানও বাঁচাতে পারিনি।

 

সর্বশেষ খবর