কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রকাশ্যে সংসদ সদস্যের ফুফাতো ভাই হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার মজিবর রহমান বয়াতি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। দৌলতপুর সহকারী জজ আদলাতে রবিবার জবানবন্দী দেন তিনি।
এলাকায় গিয়ে জানা যায়, মজিবর পেশায় চা দোকানি। সহজ-সরল নিরীহ প্রকৃতির মানুষ তিনি। তার মত মানুষ খুন করেছে-এটা শুনে হতবাক স্থানীয়রা। খুনের কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, ২০১৯ সালে ঈদুল আজহার দিন সন্ধ্যায় পদ্মা নদীর পাড়ে আবেদের ঘাট এলাকায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মজিবর রহমানের ছেলে স্কুলছাত্র আনোয়ার (১৫) খুন হন। এ ঘটনায় মজিবর দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলার আসামি এবং আসামিদের পরিবারের সদস্যরা সবাই স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোক। ইতোমধ্যে ওই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে আদালতে। আসামিদের পক্ষ নিয়ে আপস-মীমাংসা করার জন্য বাদীকে চাপ দেন এমপির স্থানীয় প্রতিনিধি হাসিনুর রহমান। এতে ক্ষুব্দ হন মজিবর। হাসিনুর হত্যার কয়েক দিন আগে মজিবর স্থানীয় লোকজনের সামনে বলেন, ‘আমার ছেলে হত্যার বিচার-তো পাব না। যারা বিচারে বাধা দিচ্ছে সেই হাসিনুর গংদের দেখে নেব’। এদিকে, হাসিনুরকে হত্যার পর মজিবর লোকজনের সামনে চিৎকার করে বলতে থাকেন- ‘সন্তান হত্যার বদলা নিলাম, এখন আমার জেল-ফাঁসি যাই হোক দুঃখ নেই।’ হাসিনুরকে খুনের পর পালিয়ে যাননি তিনি। নিজ বাড়িতে গিয়ে বসেছিলেন। সেখান থেকেই পুলিশ তাকে আটক করে। মজিবর রহমান পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হাসিনুরকে খুন করার ব্যাপারে একই কারণ উল্লেখ করেছেন বলে দৌলতপুর থানা সূত্রে জানা যায়। গত শনিবার খুন হন হাসিনুর রহমান।