বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সড়কে ভোগান্তি ১০ গ্রামের মানুষের

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

সড়কে ভোগান্তি ১০ গ্রামের মানুষের

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার টেলকী-লহরিয়া-শোলাকুড়ি কাঁচা সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে ১০ গ্রামের মানুষ যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। কৃষিনির্ভর ওই সব গ্রামে চাষিরা উৎপাদিত পণ্য নিয়ে পড়েন বিপাকে। কৃষিপণ্য পরিবহন করতে যাদের গুনতে হয় দ্বিগুণ ভাড়া। এছাড়া এ এলাকায় রয়েছে কলা ও আনারসের পাতা থেকে তৈরির ফাইভার কারখানা। এ কারখানার কাঁচামাল সংগ্রহ ও  তৈরি পণ্য পরিবহন করতে কষ্টের শেষ থাকে না। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, কাকড়াগুনি, জয়নাগাছা, বেদুরিয়া, বন্দরিয়া, শোলাকুড়ি, হরিণধরা, জালাবাদা, গায়রা, টেলকি, সাধুপাড়াসহ আশেপাশের ইউনিয়নের লোকজন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। সড়কের মধ্যে টেলকী থেকে গায়রা পর্যন্ত ১ কি.মি. এবং মধুপুর শালবন পাড়ি দিয়ে কাকড়াগুনি ব্রিজ থেকে বেদুরিয়া পর্যন্ত ১ কি.মি. পাকা হয়েছে। বেদুরিয়া থেকে শোলাকুড়ি পর্যন্ত ৭ কি.মি. এবং মধুপুর বনের অংশে গায়রা থেকে কাকড়াগুনি পর্যন্ত ২-৩ কি.মি. পাকা না হওয়ায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ১০ গ্রামের বাসিন্দারা। বর্ষাকালে কাঁচা সড়কটি চাষের জমির মতো হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় বড় বড় গর্ত। যানবাহন চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ে বলে জানান স্থানীয়রা। স্থানীয় শোলাকুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি পাকা না হওয়ায় বর্ষাকালে কৃষিপণ্য বাজারে সরবরাহ করতে ও জনগণের চলাচল কষ্টকর হয়ে পড়ে। মধুপুর উপজেলার প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার দাস জানান, বন বিভাগের বাধার কারণে সড়কটি প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বন বিভাগ পাকা করার লিখিত অনুমতি দিলে সড়কটি প্রকল্পভুক্ত করা হবে। সহকারী বন সংরক্ষক টাঙ্গাইল (উত্তর) জামাল হোসেন তালুকদার জানান, বনের ভিতরে বন বিভাগ অনুমতি ছাড়া সড়ক পাকা করা যায় না। বন মন্ত্রণালয়ের অনুমতিসাপেক্ষে সড়ক পাকা করলে কোনো বাধা থাকবে না।

সর্বশেষ খবর