শিরোনাম
শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলায় উপকূলে বাঁধের উচ্চতা বাড়ানো হবে

ভোলা প্রতিনিধি

জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলায় উপকূলে বাঁধের উচ্চতা বাড়ানো হবে

ভোলাসহ উপকূলীয় এলাকা রক্ষায় কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া নদীভাঙন প্রতিরোধ এবং জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত ব্যাপক সমীক্ষা চালানো হচ্ছে। ষাট-সত্তরের দশকে উপকূলে নির্মিত বাঁধগুলোর উচ্চতা ছিল ১২ ফুট। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়েছে। নদ-নদীতেও পানির উচ্চতা বেড়েছে। তাই অমাবস্যা-পূর্ণিমার অতিজোয়ার কিংবা জলোচ্ছ্বাসের সময় ওইসব বাঁধের ওপর দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। এ জন্য চলমান সমীক্ষা শেষে বাঁধের উচ্চতা ১২ ফুট থেকে ১৮ ফুট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গতকাল সকালে ভোলার ইলিশা এলাকার ব্লকবাঁধ নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, উপকূলীয় এলাকায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৩ হাজার ২৮০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প রয়েছে। বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যক্ষমতা অনেক বেড়েছে। কোথাও নদীভাঙন কিংবা বাঁধে ভাঙন দেখা দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্টাফরা সেখানে রাত দিন কাজ করেন। কাজের অগ্রগতির ছবি তুলে পাঠান। আমরা সার্বক্ষণিক কাজের মনিটরিং করি। দ্রুত সিদ্ধান্ত দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। গতকাল প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক স্পিটবোট নিয়ে ভোলার দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন, তজুমদ্দিন এবং চরফ্যাশন উপজেলার মেঘনার তীরবর্তী এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের চলমান প্রকল্প ও ভাঙনকবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন এবং বেশ কয়েকটি স্পটে বক্তব্য রাখেন। এ সময় তার সঙ্গে ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল, ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ আলম সিদ্দিক, পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার, জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকিবসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর