রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বাঁধে জলাবদ্ধতা ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে

নষ্ট হচ্ছে খেতের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত শত শত কৃষক

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

বাঁধে জলাবদ্ধতা ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে

খালের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে তৈরি করা হয়েছে বাঁধ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় ডাকাতিয়া নদীর সংযোগ খালগুলোতে বাঁধ দিয়ে ইমারত নির্মাণ ও মাছ চাষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে প্রায় ৩০ হাজার ৩৯৫ হেক্টর ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, রায়পুর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড ও উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের পানি বিভিন্ন খাল দিয়ে ডাকাতিয়া ও মেঘনা নদীতে গিয়ে পড়ে। এ সব খালের একাধিক স্থানে দখল করে প্রভাবশালীরা স্থাপনা নির্মাণ ও মাছ চাষ করছেন। অনেকে বালু ফেলে ভরাট করে বাড়িও বানিয়েছেন। এতে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে প্রায় ৩০ হাজার ৩৯৫ হেক্টর জমিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। নষ্ট হচ্ছে এ সব জমির ফসল। পানিতে তলিয়ে থাকায় কৃষকরা রবিশস্য, বোরো ধান আবাদ করতে পারছে না। জলাবদ্ধতার বিষয়ে সম্প্রতি ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন কৃষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কৃষি কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, রায়পুর উপজেলা শহরের নতুন বাজার, মহিলা কলেজ সংলগ্ন, পৌরসভার পশ্চিম কাঞ্চনপুর, কেরোয়া ইউপির লুধুয়া গ্রাম, মালিবাড়ি এলাকা, চরপাতা ইউপির গাজিনগর গ্রাম, চরআবাবিল ইউপির হায়দরগঞ্জের বেড়িবাঁধ এলাকা, উদমারা ও দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের কয়েক গ্রামের জমি পানির নিচে রয়েছে। পৌরসভার পশ্চিম কাঞ্চনপুর গ্রামের কৃষক বেনি আমিন বলেন, তিনি চার বিঘা জমিতে ধান ও পেঁপে আবাদ করেছিলেন। জলাবদ্ধতার কারণে সব শেষ হয়ে গেছে। হায়দরগঞ্জের সমাজ সেবক ছাইয়েদ তাহের জাবেরি বলেন, গত শুক্র ও শনিবার মেঘনার জোয়ারে তার ফল বাগানের শতাধিক চারা ও গাছ নষ্ট হয়েছে। রায়পুরের ইউএনও সাবরীন চৌধুরী বলেন, ‘ডাকাতিয়া ও মেঘনা নদীতে প্রবহমান সংযোগ খালে বাঁধ দেওয়ার বিষয়ে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। অবৈধ স্থাপনা ও বাঁধ ভেঙে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করে দিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ রায়পুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হোসেন শহীদ সরওয়ার্দি বলেন, শিগগিরই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে ডাকাতিয়া ও মেঘনা নদীর সংযোগ খালের বাঁধ ও স্থাপনা ভেঙে দিতে অভিযান চালানো হবে।

সর্বশেষ খবর