রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

মালিহাটা-উদয়কুঁড়ি সড়ক চলাচলের অযোগ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

মালিহাটা-উদয়কুঁড়ি সড়ক চলাচলের অযোগ্য

বর্ষা মৌসুমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মালিহাটা থেকে উদয়কুঁড়ি পর্যন্ত কাঁচা সড়কটি। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়। তখন হেঁটে চলাও কষ্টকর হয়ে পড়ে। এতে ১০ গ্রামের মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাছাড়া এলাকাটি কৃষিনির্ভর হওয়ায় চাষিরা উৎপাদিত পণ্য নিয়ে পড়েন বিপাকে। এমনকি ন্যায্য দামও পাচ্ছেন না তারা। কৃষিপণ্য পরিবহন করতেও গুনতে হয় দ্বিগুণ ভাড়া। স্থানীয়দের দাবি, সড়কটি পাকা করা হলে দুর্ভোগ লাঘবের পাশাপাশি পণ্যের পরিবহন খরচ কমে আসবে। কৃষকরা উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পাবেন। জানা যায়, মালিহাটা থেকে উদয়কুঁড়ি পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য তিন কিলোমিটার। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন উঁচুলবাড়িয়া, বাঁশবাড়িয়া, উদয়কুঁড়িসহ ১০ গ্রামের মানুষ চলাচল করে। শুক্র ও মঙ্গলবার আলতাদিঘী বোর্ডের হাটের দিন মানুষের চলাচল আরও বেড়ে যায়। ওই এলাকার বাসিন্দা সেলিম রেজা বলেন, তাদের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তাটির মাটি এঁটেল হওয়ায় বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই কাদা-পানিতে একাকার। বর্তমানে এই সড়কে স্থানভেদে চার থেকে পাঁচ ফুট পর্যন্ত কাদার গভীরতা আছে। তিনি বলেন, ভোগান্তির পাশাপাশি বিপত্তির শিকারও হতে হচ্ছে তাদের। সড়কের বেহালদশার কারণে অনেকে এ সব গ্রামে ছেলে-মেয়ে বিয়ে দিতে চায় না।

আত্মীয়স্বজনও এই গ্রামে আসতে চান না। এমনকি বর্ষার সময় এ সব গ্রামের কাউকে হাসপাতালে নিতে হলে কাঁধে করে নিয়ে যেতে হয়। স্থানীয় কুসুম্বী ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য হাবিবর রহমান বলেন, বিকল্প না থাকায় এ অঞ্চলের মানুষের এই রাস্তা হয়েই উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হয়। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে ভ্যান-রিকশা, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, অটোরিকশা, টেম্পো, মিনি ট্রাকসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বছরের প্রায় অর্ধেক সময় চলাচলের অযোগ্য থাকে সড়কটি। বর্ষাকালে দুর্ভোগের মাত্রা বাড়ে। সড়কটি পাকাকরণের জন্য বিভিন্ন দফতরে ধরনা দিয়েছি- কাজ হয়নি। উপজেলা প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ বলেন, ইতোমধ্যে সড়কটি পাকাকরণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দফতরে ফাইল পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার কথাও বলেছেন তিনি। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই সড়কটি পাকাকরণের বরাদ্দ আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই কর্মকর্তা।

সর্বশেষ খবর