মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ভালো নেই আখাউড়ার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা

সারা দিন ঘুরে খরচই ওঠে না, অর্থ সংকটে পরিবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ভালো নেই আখাউড়ার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা

পণ্যসামগ্রী হাতে আখাউড়ার এক ফেরিওয়ালা

কানের দুল, চেইন, ব্যান, চুড়ি, ক্লিপ, চিরুনিসহ হরেক রকম মাল কাঁধে নিয়ে গ্রাম থেকে গ্রাম ঘুরে বেড়ান তারা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার এমন অর্ধশতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এখন কষ্টে দিন কাটছে। করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তাদের ওপর। বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটি স্বাভাবিক হলেও ব্যবসা নেই-দাবি তাদের। কয়েক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন আগে যেখানে গ্রামে ঘুরে দৈনিক ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা বিক্রি হত এখন ৪০০-৫০০ টাকা বিক্রি করাই কঠিন হয়ে যায়। মন্দাভাব না কাটায় পরিবারে দেখা দিয়েছে অর্থ সংকট। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে, আখাউড়া উপজেলায় অর্ধশতাধিক হরেক মাল বিক্রেতা রয়েছেন। যাদের বাড়ি নাসিরনগর, সরাইল ও বাঞ্ছারামপুরে। আখাউড়ায় তারা বাসা ভাড়া নিয়ে ৭-৮ বছর ধরে  উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ফেরি করে গৃহিণীদের কানের দুল, চেইন, ব্যান, চুড়ি, ক্লিপ, চিরুনিসহ নানা মাল বিক্রি করছেন। গেছু মিয়া নামে একজন বলেন, স্ত্রী, তিন মেয়েসহ তার পাঁচজনের সংসার। হরেক মাল বিক্রির ওপর চলে সংসার। করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্যবসা খুবই রাখাপ। গ্রামে গ্রামে ঘুরে মালামাল বিক্রি করায় করোনার ভয়ে আগের মতো মানুষ আসছে না। একদিকে মাহাজনের টাকা, বাসা ভাড়া, খাবার; অন্যদিকে বাড়িতে টাকা পাঠানো সব মিলিয়ে কঠিন অবস্থায় তার দিন পার হচ্ছে। মাস শেষে আগে যেখানে বাড়িতে ৭-৮ হাজার টাকা দেওয়া যেতো এখন দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা দেওয়াই কষ্টকর। ইনু মিয়া বলেন, করোনাভাইরাসের আগে প্রতি মাসে ৩৫-৪০ হাজার টাকার মালামাল বিক্রি হতো। এখন মাসে ১০-১২ হাজার টাকাও বিক্রি করতে পারছেন না। করোনার ভয়ে আমাদের কাছ থেকে অনেকেই মাল কিনতে চায় না। তিনি বলেন, ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এ ব্যবসা ছাড়তে পারছিন না। কারণ যে বয়স হয়েছে তাতে কোনো ভারী করা সম্ভব নয়। তাই কোনো মতে পড়ে আছি।

সর্বশেষ খবর