বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বনিবনা না হওয়ায় বালিশচাপায় হত্যা, বাবা-সৎ মা গ্রেফতার

ট্রাংকে শিশুর ঝলসানো লাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

এক মাস ১৭ দিন পর অজ্ঞাতনামা শিশু হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। গত ১৬ জুলাই নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার রামডাঙ্গা ফরেস্ট ও সিংগাহাড়া নদীর তীরে তালাবদ্ধ ট্রাংক থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। গতকাল হত্যার শিকার শিশুর পরিচয় জানা গেছে। খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে বাবা ও সৎ মাসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পিবিআই সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ জুলাই একটি ট্রাংক পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেন। পরদিন পুলিশ  ট্রাংকটি খুলে শিশুর অর্ধগলিত লাশ পায়। পিবিআই রংপুর ক্রাইমসিন সংরক্ষণ করে ছায়া তদন্ত শুরু করে। লাশটি ঝলসানো ও অর্ধগলিত থাকায় ফিঙ্গার প্রিন্ট গ্রহণ করে। পরে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়। রংপুর পিবিআই পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম তথ্যপ্রযুুক্তি ব্যবহার করে প্রায় ১ মাস ১৭ দিন পর অপরাধের মোটিভ, প্রক্রিয়া ও মৃত ব্যক্তির পরিচয় নৃশংসতম হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার একটি এনজিওতে কর্মরত নিহত জিহাদের বাবা জিয়াউর রহমানকে গ্রেফতার করে। তার স্বীকারোক্তি মতে বিরল উপজেলায় তার ভাড়া বাসা থেকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী শিশু আলেয়া মনি, শ্বশুর আইয়ুব আলীকে গ্রেফতার করা হয়। তার ভাড়া বাড়ি থেকে ইলেক্ট্রিক ওয়াটার হিটার জব্দ করা হয়। যার মাধ্যমে জিহাদকে হত্যার পর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার জন্য গরম পানি নিক্ষেপ করা হয়েছিল।

পিবিআই জানায়, গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সৎ মা আলেয়া ও বাবা জিয়াউর রহমানের সঙ্গে শিশু জিহাদের বনিবনা না হওয়ায় তারা পরিকল্পিতভাবে গত ১৪ জুলাই রাতে ঘুমন্ত জিহাদকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে।  পরে বাসায় ব্যবহৃত একটি স্টিলের ট্র্যাংকে লাশ ঢুকায়। আইয়ুব আলী দুটি চাইনিজ তালা কিনে এনে ট্রাংকটি তালাবদ্ধ করে। পরে পিকআপ ভাড়া করে নদীর ধারে ট্রাংকটি ফেলে রাখে। ওই পিকআপের মালিক ও ড্রাইভার ইসমাইলকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর