শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

পাতকুয়ার সুবিধা পাচ্ছে চরের মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

পাতকুয়ার সুবিধা পাচ্ছে চরের মানুষ

হাতকল আসার আগে বরেন্দ্র অঞ্চলসহ রাজশাহীর গ্রামে সুপেয় পানির নির্ভরযোগ্য আধার ছিল পাতকুয়া। বরেন্দ্র এলাকায় হাত, সাবমার্সিবল পাম্প, গভীর ও অগভীর নলকূপ আসার পর পাতকুয়া আর কেউ রাখেনি। নতুন প্রজন্মের অনেকে পাতকুয়া দেখেইনি। তবে জলবায়ু ও সময় পরিবর্তন এবং প্রকৃতির বিরূপ প্রভাবে ও ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমাতে পাতকুয়ার প্রয়োজন অনুভব করছেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) প্রকৌশলীরা। তবে আগে বালতি ও রশি দিয়ে পানি উত্তোলন হতো শুধু পানের ও গৃহস্থালীর কাজে। এখন সৌর প্যানেলে যান্ত্রিকভাবে সেচকাজে ব্যবহার হচ্ছে এই পাতকুয়ার পানি। বর্তমানে বরেন্দ্র অঞ্চলে ও পদ্মার চরে চাষাবাদ করা কঠিন। সেচ সুবিধা নিশ্চিত করতে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। যার মধ্যে পাতকুয়া একটি। এরই ধারাবাহিকতায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চর মাঝারদিয়াড়ে পাতকুয়া ও সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। ফলে জলাবদ্ধতা নিরসন ও পানির প্রাপ্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় এখানে পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত হয়েছে। পাতকুয়া ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের নিচ পর্যন্ত গোলাকার আকৃতিতে মাটি খনন করে চারপাশ থেকে চুয়ানো পানি ধরে রাখার আধার। বিএমডিএর প্রকল্প পরিচালক নজরুল ইসলাম জানান, রাজশাহীর পবা উপজেলার চর মাঝারদিয়াড়ে সেচ কাজে পানির নিশ্চয়তায় এলএলপি (নদী থেকে পানি উঠানো) দুইটি এবং চারটি স্থানে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে পাতকুয়া থেকে পানি উত্তোলন করা হচ্ছে। প্রতিটি সোলার প্যানেল ও পাতকুয়ায় ব্যয় হয় ১৩ লাখ টাকা। এতে পানির লাইন আছে এক একটিতে ৩৬০ মিটার ভূগর্ভস্থ পর্যন্ত। বিএমডিএর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুর রশিদ জানান, পাতকুয়াটি চরাঞ্চলে বসানোর ফলে সুফল পাচ্ছেন এলাকার মানুষ। এই পানি ব্যবহার করছে সাত থেকে আট হাজার মানুষ। ফলে স্বল্প খরচে পদ্মার চরে কৃষির সেচ কাজে পানির নিশ্চয়তা ও খাদ্য এবং সবুজায়ন সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে।

সর্বশেষ খবর