হাওর ও চা বাগানবেষ্টিত মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রায় ৩ লাখ মানুষের একমাত্র চিকিৎসালয় রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। চিকিৎসক ও টেকনোলজিস্ট সংকটে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। দিনে দিনে কমছে সেবার মান। ফলে সরকারি সেবা পেতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ লোক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারদের ১০টি পদ রয়েছে। কাগজে কলমে ৫ জন রয়েছেন। এর মধ্যে ডা. হাসানোল মাহমুদ মৌলভীবাজার বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ডেপুটেশনে রয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কিছু না জানিয়ে বিগত ৫ বছর অনুপস্থিত রয়েছেন ডেন্টাল টেকনোলজিস্ট ফাহমিদা বেগম। বর্তমানে হাসপাতালে কর্মরত আছেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপাজ্জল হোসেন ভূইয়া, ডেন্টিস্ট ডা. হালিমা আক্তার, ডা. হুরে জান্নাত প্রীতি এবং প্রশাসনিক দায়িত্বে আছেন ডা. বর্ণালি দাস।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রশাসনিক দায়িত্বে নিয়োজিত ডাক্তার হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ কাজে ব্যস্ত আছেন। জরুরি বিভাগে সেবা দিচ্ছেন উপ-সহকারী কমিউনিটি অফিসার সুমিত্রা দে। হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন, প্যাথলজি যন্ত্রপাতি, ইসিজি মেশিন রয়েছে কিন্তু টেকনোলজিস্ট না থাকার কারণে এই সমস্ত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার সাধারণ মানুষ।হাসপাতালে সেবা নিতে আসা ফয়সল মিয়া বলেন, হাসপাতালে গেলে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় অনেক সময়। পর্যাপ্ত সেবাও পাওয়া যায়নি। সব ধরনের টেস্ট বাইরে করাতে হয়। ইনডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে জানান, দিনে একবার এসে ডাক্তার দেখে যান। পরবর্তী সময়ে শরীরে অবনতি হলেও ডাক্তারদের খোঁজ পাওয়া যায় না। রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বর্ণালী দাস বলেন, টেকনোলজিস্ট নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সীমিত জনবল নিয়ে সাধ্যমতো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।