দিনাজপুরের বিরলে বিলের জমির ওপর দিয়ে প্রবহমান পানিতে প্রতিবন্ধকতায় ফসলি জমি ও লিচুবাগানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বিরল পৌর শহরের চকভবানী মৌজার ১৬২ নম্বর দাগের জমিতে পুকুরপাড়, নেটসহ যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা অপসারণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা। বিলের জমিতে পুকুর খনন করে পাড় নির্মাণ ও ব্যক্তি উদ্যোগে মাছ চাষে ক্ষুদ্রাকৃতির নেট ব্যবহারের ফলে দীর্ঘদিনের পানির প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। অন্যদিকে মাছ চাষিরা বলছেন, পানির প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে পাড় বাদে কিছু অংশে নেট দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী কৃষক কানুচন্দ্র রায় জানান, এর আগে বিলের পাশের জমিতে তিনি নির্বিঘ্নে ধান আবাদ করে এসেছেন। সম্প্রতি বিলের জমিতে পুকুরপাড় নির্মাণ ও ক্ষুদ্রাকৃতির নেট ব্যবহারের ফলে পানির প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়ে জমির ধান তলিয়ে গেছে।
কৃষক মতিউর রহমান জানান, পানির প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় তার লিচুবাগানের অর্ধশতাধিক গাছের গোড়ায় হাঁটুপানি জমেছে। প্রতিবন্ধকতা দূর করা না গেলে যে কোনো সময় গাছগুলো মরে যাবে। এতে তিনি চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। কৃষক মঞ্জুরুল হাসান দুলু, আবদুর রাজ্জাক, আতাব উদ্দীন, রিয়াজুল ইসলামসহ অনেকে শিগগিরই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সরেজমিন পরিদর্শন করে জলাবদ্ধতা দূর করে ১০০ থেকে ১৫০ একর ফসলি জমি ও পাশের বাগান রক্ষার দাবি জানিয়েছেন। মাছ চাষি সাইয়াদুল ইসলাম জানান, তিনি নুরুল ইসলামের থেকে তিন বছরের জন্য পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছেন। পানির প্রবাহ উভয় দিকে (প্রবেশ ও বাইর) সমান আছে।
