বরিশালের গৌরনদী উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বাটাজোর-শরিকল পাকা সড়কটি এখন কাদামাটির সড়কে পরিণত হয়েছে। ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের পুরোটাই এখন কাদামাটিতে মাখামাখি। দীর্ঘদিন সংস্কার-মেরামত না হওয়ায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে এখন ছোট ছোট অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় এই সড়কে চলাচলকারী বাস সার্ভিস বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া এই সড়কে নির্ভরশীল কয়েকশ ছোট ছোট যানবাহন চালকের রুজিও বন্ধ হয়ে গেছে। পথচারীরাও পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা জরুরি ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। শরিকল গ্রামের নাজিম উদ্দিন টিপু, চন্দ্রহার গ্রামের শিক্ষক কে এম সানাউল্লাহ হোসেন, শিক্ষক কে এম রিয়াজউদ্দিনসহ ভুক্তভোগীরা বলেন, প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর, শরিকল, নলচিড়া ইউনিয়ন এবং বাবুগঞ্জ উপজেলার আগরপুর ও মুলাদীর নাজিরপুর ইউনিয়নসহ আশপাশের কয়েক হাজার বাসিন্দা চলাচল করেন। এসব এলাকার মানুষের গৌরনদী উপজেলা সদর কিংবা জেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বাটাজোর-শরিকল সড়ক। এসব এলাকার লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে বরিশাল-শরিকল রুটে নিয়মিত বাস চলাচল করে আসছিল। কিন্তু চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে এই সড়কে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। অনুপযোগী সড়কের কারণে ছোট ছোট যান চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে এই সড়কের ওপর নির্ভরশীল ছোট যানের শ্রমিকরা পড়েছেন বেকায়দায়। শরিকল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন মিলন বলেন, গত ৪ বছর আগে গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কটি সংস্কারের সময় স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের এক প্রভাবশালী ঠিকাদার নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় কয়েক দিনের মধ্যেই পুরো সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। পরে আর কোনো সংস্কার কাজ না হওয়ায় বিটুমিন উঠে গিয়ে সড়কের মধ্যে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পাকা সড়কটি এখন কাদামাটিতে একাকার হয়ে গেছে।
ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন দূরের কথা, জনসাধারণের পায়ে হেঁটে চলাচলও অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া গর্তে পানি জমে জলাশয়ের মতো সৃষ্টি হচ্ছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে হাজারো পথচারীকে। গৌরনদী উপজেলা প্রকৌশলী মো. অহিদুর রহমান বাটাজোর-শরিকল সড়কের বেহাল দশার কথা স্বীকার করে বলেন, এলজিইডির অর্থায়নে রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় সড়কটি সংস্কারের জন্য আগামী মাসে টেন্ডার আহ্বান করা হচ্ছে। আগামী ডিসেম্বর নাগাদ সংস্কার কাজ শুরু হতে পারে বলে তিনি জানান।