বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

পানিবন্দী কয়েক হাজার পরিবার

ময়মনসিংহে খাল দখল করে বাঁধ নির্মাণ!

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

পানিবন্দী কয়েক হাজার পরিবার

বাড়ির উঠানে জলাবদ্ধতা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরনীলক্ষীয়া ইউনিয়নে চিরনখালী ও কাটাখালী খাল দখল করে অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে মাছের খামার। এতে করে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কয়েকশ পরিবার তিন মাস ধরে পানিবন্দী রয়েছে। এতে করে পানিবাহিত রোগ যেমন বাড়ছে তেমনি অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন পানিবন্দী মানুষ। এদিকে গ্রামবাসীর দুর্ভোগের এমন খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন কয়েক সপ্তাহ আগে। তবে এখনো কোনো সুরাহা না হওয়ায় প্রতিকূল অবস্থাতেই দিন পার করছেন ভুক্তভোগীরা। সরেজমিন সদর উপজেলার চরনীলক্ষীয়া ইউনিয়নে দেখা যায়, চিরনখালী ও কাটাখালী সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে কালভার্টের মুখ বন্ধ করে মাছ চাষ করছে প্রভাবশালীরা। ফলে রশিদপুর, সাহবাজপুর ও বাজিতপুর গ্রামে দেখা দিয়েছে ব্যাপক জলাবদ্ধতা। তিন মাস ধরে পানিবন্দী অবস্থায় জীবনযাপন করছেন এই তিন গ্রামের প্রায় তিন হাজার মানুষ। জলাবদ্ধতার কারণে অনেকের বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। নোংরা ও ময়লা পানি ব্যবহার করে চর্মরোগসহ নানা ধরনের পানিবাহিত রোগেও আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। নীলক্ষীয়া ইউনিয়নের রশিদপুরের আকবর আলী বলেন, ‘রশিদপুরের পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও আড়াই কিলোমিটার প্রস্থের বাউশী বিলের পুরোটাই প্রভাবশালীরা দখল করে ফিশারি গড়ে তুলেছে। যে কারণে বৃষ্টির পানি নামতে না পারায় বাড়িঘরে পানি উঠেছে।’ আলীম হোসেন নামের আরেকজন জানান, খালগুলো দখলমুক্ত হলেই আমাদের কষ্ট লাঘব হবে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, ‘ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যত দ্রুত সম্ভব খালগুলো উদ্ধার বা খনন করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।’ তিনি আরও জানান, ‘যে বা যারাই খাল-বিল দখল করে ফিশারি তৈরি করেছে তাদের চিহ্নিত করে খাস জমি উদ্ধার করা হবে। স্বেচ্ছায় না ছাড়লে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

সর্বশেষ খবর