শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

রুট পারমিট থাকার পরও ২০ বছর লঞ্চ বন্ধ

দ্রুত চালুর দাবিতে মানববন্ধন সমাবেশ

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বিশ বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া ঢাকা-রায়েন্দা রুটের লঞ্চ চলাচল পুনরায় চালুর দাবি উঠেছে। উপকূলীয় এলাকা বাগেরহাটের শরণখোলাবাসীর নিরাপদ ও সহজ যাতায়াতের এই মাধ্যমটি দ্রুত চালুর দাবিতে গতকাল মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে শরণখোলা উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। পাশাপাশি বলেশ্বর নদী রায়েন্দা-বড় মাছুয়া ফেরি পারাপারেরও দাবি জানানো হয়।  শরণখোলা প্রেস ক্লাবের সামনে বেলা সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে সিপিবি নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল বাস্তবায়নের দাবি তুলে বক্তৃতা করেন সিপিবির উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রতন দাস, সিপিবি নেতা নির্মল দাস, ইউসুফ খান, যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ তালুকদার, যুবনেতা সঞ্জয় কুলু, মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান ফরাজী প্রমুখ। বক্তারা বলেন, এক সময় রায়েন্দা ঘাট থেকে মর্ডান সান, পূবালী, পূরবী, খেয়াপার, নাবিক, পিংকি, মাছরাঙ্গাসহ সাত-আটটি বিলাসবহুল লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যেত। এ ছাড়া জেলা সদর বাগেরহাট এবং মোংলা হয়ে খুলনা রুটে চলাচল করত তালিম, ফ্লাইং হক, শরীফ, সৈকত, নাজিনা, যুগ্নুসহ বেশকটি একতলা লঞ্চ। তখন রায়েন্দা বন্দর ও এ অঞ্চলের মানুষের যাতায়াত এবং বিভিন্ন ব্যবসায়িক পণ্য লঞ্চের মাধ্যমেই আনা-নেওয়া করা হতো। লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। অথচ শরণখোলা পর্যন্ত রুট পারমিট থাকার পরও লঞ্চগুলো পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী ঘাট পর্যন্ত এসে থেমে যায়। তুষখালী থেকে মাত্র এক ঘণ্টার পথ পাড়ি দিলেই রায়েন্দা লঞ্চঘাট। অদৃশ্য কারণে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে শরণখোলাবাসী এই সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় তিন বছর আগে বিআইডব্লিউটিএর মাধ্যমে প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন ঘাট নির্মাণ করা হয়। এরপর একটি আধুনিক পন্টুন স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু লঞ্চ আসে আসে করে আর আসেনি। একপর্যায়ে কর্তৃপক্ষ মাস ছয়েক আগে রাতের আধারে সেই পন্টুনটিও এখান থেকে তুলে নেয়। রায়েন্দা বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, ব্যবসায়ী সরোয়ার হোসেন, শহিদুল ইসলাম জানান, লঞ্চসার্ভিস চালু থাকলে শরণখোলার ব্যবসায়ীদের ঢাকা-খুলনা থেকে ব্যবসায়িক পণ্য পরিবহন অত্যন্ত সহজ হতো। তাছাড়া জনসাধারণও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সহজে যাতায়াত করতে পারত। দ্রুত যাতে শরণখোলা পর্যন্ত লঞ্চসেবা চালু হয়, সে জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান তারা।

সর্বশেষ খবর