রংপুরের বদরগঞ্জ সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মাজেদ আলির বিরুদ্ধে জাল ও ভুয়া সনদ তৈরি করে কলেজেরই একজন প্রভাষককে হেনস্তা করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী প্রভাষক শামিম আল মামুন। গতকাল স্থানীয় বদরগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। লিখিত বক্তব্যে মামুন জানান, বদরগঞ্জ সরকারি কলেজে তিনি বাংলা বিভাগের প্রভাষক। ২০১২ সালে নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। যা এনটিআরসিএ’র যাচাইয়ে সঠিক প্রমাণিত হয়। অথচ কলেজ অধ্যক্ষ তার নামে এনটিআরসির জাল ও ভুয়া সনদ তৈরি করার চক্রান্ত করছেন। কারণ হিসেবে তিনি জানান, কলেজের একাউন্টস বিভাগের কাছে তার (অধ্যক্ষ) প্রায় ৪৬ লাখ ৩৬ হাজার টাকা দায় রয়েছে। অডিট কমিটির আহবায়ক, সহকারী অধ্যাপক (ইংরেজি) সুনীল চন্দ্র সরকার জানান, আমরা অডিট করে পেয়েছি কলেজ তার (অধ্যক্ষ) কাছে প্রায় ৪৬ লাখ ৩৬ হাজার টাকা দায় রয়েছে। বিষয়টিকে ঢাকতে তিনি প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছেন। এর আগেও তিনি নিরঞ্জন কুমার রায় নামে বাংলা বিভাগের এক শিক্ষককে ভুয়া সনদ দিয়ে ফাঁসিয়েছেন। ওই শিক্ষক বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। একই কথা বলেন, জীববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সিদ্দিকি। বিষয়টি জানতে কলেজ অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মাজেদ আলির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়। পারলে প্রমাণ করুক।