রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে গম ও ভুট্টার উৎপাদন বাড়াতে হবে

দিনাজপুর প্রতিনিধি


পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে গম ও ভুট্টার উৎপাদন বাড়াতে হবে

দিনাজপুরে গতকাল তিন দিনব্যাপী গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটে বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালা শুরু হয় -বাংলাদেশ প্রতিদিন

জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে লাভজনক, টেকসই ও পরিবেশবান্ধব আধুনিক কৃষি ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বাংলাদেশে বর্তমানে গমের চাহিদা ৭০ লাখ মেট্রিক টন এবং তার বিপরীতে উৎপাদন মাত্র সাড়ে ১২ লাখ মেট্রিক টন। অপরদিকে ভূট্টার চাহিদা ৬৫ লাখ মেট্রিক টন এবং তার বিপরীতে উৎপাদন ৫৪ লাখ মেট্রিক টন। তাই খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে গম ও ভুট্টার উৎপাদন বাড়াতে হবে। গম ও ভুট্টার নতুন ও উদ্ভাবিত নতুন প্রযুক্তিগুলো কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।  বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট, দিনাজপুরে তিন দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) মি. কমলারঞ্জন দাস এ সব কথা বলেন। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিডাব্লিউএমআরআই) মহাপরিচালক, ড. মো. এছরাইল হোসেন। তিনি বলেন, বিজ্ঞানীদের প্রজ্ঞা, মেধা ও অক্লান্ত পরিশ্রমে এ পর্যন্ত ভুট্টার ১৯টি হাইব্রিড জাত ও ৭টি ওপেন পলিনেটেড কম্পোজিট জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। সম্প্রতি ডাব্লিউএমআরআই-১ ও ডাব্লিউএমআরআই হাইব্রিড বেকর্ন-১ নামে দুটি উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড ভুট্টার জাত অবমুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশে কর্ন ওয়েল ও কর্ন ফ্লেক্সসহ অন্যান্য খাদ্য তৈরিতে ভুট্টার ব্যবহারের ওপর গবেষণা শুরু হয়েছে এবং ইতোমধ্যে কর্ন ওয়েল উৎপাদনের প্রাথমিক ধাপেও সফলতা অর্জন করেছি। এছাড়াও ব্লাস্ট রোগ প্রাতিরোধী দুটি গমের নতুন জাতও অবমুক্ত করা হয়েছে। খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে অত্র প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে। ড. মো. এছরাইল হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ড. টিমোথি জে. ক্রুপনিক, ডা. ফজলুল হক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ড. আবু জামান সরকার, ড. বদরুজ্জামান।

সর্বশেষ খবর