সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রাণঘাতী দুই ভাইরাস নিয়ে নীরবে কাজ করছে শজিমেক

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (শজিমেক) অনেকটা নীরবে কাজ চলছে প্রাণঘাতী করোনা এবং এইচআইভি ভাইরাস নিয়ে। এই দুই ধরনের রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরাও। শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. রেজাউল আলম জুয়েল জানান, গত ২০ এপ্রিল করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য পলিমার চেইন রিঅ্যাকনশ (পিসিআর) ল্যাবে পরীক্ষা শুরু হয় বগুড়ায়। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে পিসিআর স্থাপন করা হয়েছে। ১৬ আগস্ট হাসপাতালের এইচটিসি/এআরটি সেন্টারে আলাদাভাবে করোনা টেস্ট শুরু হয়। এইচটিসি/এআরটি সেন্টারে ২০১৯ সাল থেকে এইডস রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। মরণব্যাধি দুটি ভাইরাস নিয়ে শজিমেকের কর্মকর্তারা আছেন ঝুঁকির মধ্যে। মেডিকেল কলেজের এইচটিসি/আরটি সেন্টার সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার এই সেন্টারে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬টি জেলার এইচআইভি-এইডস রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয় বিনামূল্যে। কারণ এইচআইভি আক্রান্তরা বেশিরভাগই গরিব। যাদের চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার মতো সামর্থ্য নেই। বগুড়ার এইচটিসি/আরটি সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শজিমেক হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. ছাইদুর রহমান জানান, ২০১৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি এইচটিসি/আরটি সেন্টারের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে এই সেন্টার থেকে ৭১ জন এইডস রোগী নিয়মিত ওষুধ সেবন করছেন। বগুড়ায় সেন্টার হওয়ার পর গত প্রায় দেড় বছরে নতুন করে ২১ জন এইচআইভি পজিটিভ হয়েছে। বাকি ৫০ জন ঢাকা বা অন্য কোনো সেন্টার থেকে চিকিৎসা ও ওষুধ সংগ্রহ করতো। বগুড়ায় সেন্টার চালু হওয়ার পর আগের রোগীরা এই সেন্টার থেকে ওষুধ সেবন করছেন। ছাইদুর রহমান বলেন, কারো এইডস পজিটিভ হলে এখান থেকে নিয়মিত চেকাপ ও ওষুধ দেওয়া হয়। সচেতনতা কমে  গেলে আক্রান্তের হার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর