প্রেমের পর বিয়ের আশ্বাস। পরে কৌশলে ডেকে নিয়ে এক ঘরে ধর্ষণ করা হয় মামাতো-ফুফাতো দুই বোনকে। তারা দুজনই ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। গতকাল নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয় ভুক্তভোগীদের। অভিযুক্তরা হলো জয় মিয়ার ছেলে রিফাত (১৯) ও রমিজ উদ্দিনের ছেলে রিফাত (১৯)। তারা দুজন বন্ধু ও নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার ফুলহর এলাকার বাসিন্দা। ধর্ষণের শিকার দুই বোন জানায়, দুই মাস আগে রিফাত নামের ওই দুই যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় তাদের। এরপর মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২১ সেপ্টেম্বর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে দুই বোনকে নবীগঞ্জে আসতে বলে। নবীগঞ্জের একটি বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়ে ওঠে তারা। সেখানেই দুই বন্ধু মিলে দুই বোনকে ধর্ষণ করে। এরপর আরও দুই দিন ওই ঘরে বিয়ে ছাড়াই অবস্থান করতে বাধ্য করে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে বন্দর থানায়। এদিকে গাজীপুরের শ্রীপুরে বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী শ্রমিক। হাসপাতালটির মালিক ওই তরুণী রোগীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নের ধলাদিয়া এলাকায় ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার ছয় দিন পর গত রবিবার থানায় মামলা করেছেন নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে অভিযুক্ত ধর্ষণ ডা. নূরুল ইসরাম শেখকে (৪৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নূরুল ইসলাম শেখ গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় বাংলাদেশ-রেলওয়ে ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক।
