শিরোনাম
শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রি

সুবিধাবঞ্চিত হতদরিদ্ররা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ার শেরপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজির চাল কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে। ফলে সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া এই চালের সুফল পাচ্ছেন না হতদরিদ্ররা। অভিযোগ আছে, ইউনিয়ন পর্যায়ে তালিকাভুক্ত হতদরিদ্রদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডিলার ও তার লোকজন নয়ছয় হিসাব দেখিয়ে চালের পরিবর্তে নামমাত্র টাকা দিচ্ছেন। একইসঙ্গে বিতরণের মাস্টাররোলেও তাদের টিপ ও স্বাক্ষর নেওয়া হচ্ছে। এরপর দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দের চাল চলে যাচ্ছে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর গুদামে। সেখানে ১০ টাকা কেজির চাল বিক্রি করা হয় ৩৬ টাকা করে। এভাবে সুবিধাভোগীদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি সিন্ডিকেট। এছাড়া উপজেলার যেখানে চাল দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে সেখানেও রয়েছে নানা অনিয়ম। দেখা গেছে তালিকায় নাম থাকা অনেকে এলাকাই নেই। আবার কেউ কেউ মারা গেছেন। তাছাড়া বেশকিছু ভুয়া কার্ডও রয়েছে। সরজমিনে কয়েক ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, ডিলারের বিক্রয়কেন্দ্রের চারপাশে যেন চাল বিক্রির হাট বসেছে। সুবিধাভোগী ব্যক্তিরা চাল নিয়ে পাশেই কালোবাজারিদের কাছে নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করে দিচ্ছেন। কারণ জানতে চাইলে কয়েকজন সুবিধাভোগী জানান, এ সব চাল খুবই নিম্নমানের। খাবার অযোগ্য। এছাড়া হাইব্রিড মোটা ধানের চাল নিতে অনেকেই আগ্রহী নয়। আর এই সুযোগ নিচ্ছেন সিন্ডিকেটের লোকজন। তারা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে কমদামে চাল কিনে গুদামে ভরছেন। পরবর্তীতে সে চাল প্রায় চারগুণ বেশি দামে বিক্রি করছেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে শেরপুর শহরের হাটখোলা এলাকায় ১০ টাকা কেজির ৩০০ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রিকালে হাতেনাতে আটক করা হয়। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সেকেন্দার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, সুবিধাভোগীরা চাল বিক্রি করতে পারবেন কিনা তা পরিপত্রে পরিষ্কার করে কিছু বলা নেই। এরপরও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কেনাবেচা বন্ধে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিয়াকত আলী সেখ এ প্রসঙ্গে বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে। সেই সঙ্গে এমন কর্মকান্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর