রবিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

স্টোরেই নষ্ট হলো ৭ হাজার ভ্যাকসিন

তিন স্বাস্থ্যকর্মীকে শোকজ

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুর শহরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার কার্যালয়ের স্টোরে নষ্ট হয়েছে প্রায় সাত হাজার পোলিও ভ্যাকসিন। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত ও তদারকিতে জড়িত তিন স্বাস্থ্য কর্মীকে শোকজ করা হয়েছে। জানা গেছে, ওই কার্যালয়ের একটি ডিপ ফ্রিজে ছয় হাজার ৮৫০টি পোলিও ভ্যাকসিন অ্যাম্পুল ছিল। ওই অ্যাম্পুল দিয়ে ২০ হাজার ৫৫০ শিশুকে পলিও ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হতো। এর রক্ষণাবেক্ষণ তথা স্টোর কিপারের দায়িত্বে ছিলেন আজিজুর রহমান সোহেল নামে এক ব্যক্তি। তিনি স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। আজিজুর রহমান গত ২৪ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরের সিভিল সার্জনের কাছে লিখিতভাবে জানান, স্টোরে থাকা ছয় হাজার ৮৫০টি পলিও ভ্যাকসিন অ্যাম্পুল তৃতীয় পর্যায় থেকে চতুর্থ পর্যায়ে যাওয়ার কারণে ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে গেছে। ভ্যাকসিন নষ্টের ঘটনার জানার পর ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ কানসালটেন্ট  ঊষা রঞ্জন চক্রবর্তীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ কনসালটেন্ট এএইচএ সায়াদ ও সারভাইরেন্স মেডিকেল কর্মকর্তা মোরশেদ জামান। গত মঙ্গলবার তদন্ত শেষে সিভিল সার্জনের কাছে প্রতিবেদন প্রদান করা হয়। প্রতিবেদনে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত স্বাস্থ্য সহকারী আজিজুর রহমান এবং তত্ত্বাবধানের কাজে নিয়োজিত আইপিআই সুপার ইখতেখার আলম খান ও কোল্ড চেন টেকনিশিয়ান সমীর কুমার মজুমদারের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়। যে ফ্রিজে এ ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা হয় সেটির তাপমাত্রা সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণে গাফিলতি ছিল দুই পরিদর্শক ইখতেখার আলম খান ও সমীর কুমার মজুমদারের। ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে আজিজুর রহমান, ইখতেখার আলম খান ও সমীর কুমার মজুমদার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না-মর্মে গত মঙ্গলবার কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর