বগুড়ার শেরপুরে নদীর মধ্যে নৌকায় জুয়া খেলার সময় পুলিশ দেখে ভয়ে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া কলেজশিক্ষকের লাশ এক দিন পর উদ্ধার হয়েছে। উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের বাঙ্গালী নদীর চকনশী এলাকা থেকে গতকাল তার লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। নিহত শিক্ষকের নাম আবদুল হাই (৩৫)। তিনি সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার আমেনা মনসুর ডিগ্রি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ধুনট উপজেলার বেলকুচি গ্রামের মোজাম্মেল হক ম-লের ছেলে। শেরপুর শহরতলির হামছায়াপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন তিনি। জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সুঘাট ইউনিয়নের জোড়গাছা আওলাকান্দি ঘাট এলাকায় নদীর মধ্যে নৌকায় জুয়া খেলা চলছিল। খবর পেয়ে শেরপুর থানার এসআই ওসমান গণির নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কলেজশিক্ষক আবদুল হাইসহ কয়েকজন নদীতে ঝাঁপ দেন। অন্যরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও কলেজশিক্ষক নিখোঁজ হন। রাতে আবদুল হাই বাড়িতে না আসায় উৎকণ্ঠায় পড়ে তার পরিবার। গতকাল সকালে তার স্ত্রী আসমা খাতুন থানায় এসে স্বামী নিখোঁজের বিষয়টি জানান এবং উদ্ধারে পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন। এর পরই ডাকা হয় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের। তারা দুপুর ১২টা থেকে অভিযান শুরু করেন। বিকাল ৪টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে কিলোমিটার দূরে চকনশী খালের মুখ থেকে ওই শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঁইয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।