সিলেটে ধর্ষণের শিকার হলো চতুর্থ শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্রী। এ ঘটনায় র‌্যাব অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরা হলো নগরের আখালিয়া বড়বাড়ী সি ব্লকের ১২ নম্বর বাসার মৃত মফিজুল ইসলামের ছেলে রুম্মান মিয়া ও সুনামগঞ্জের তেঘরিয়ার সুহেল মিয়ার ছেলে জহিরুল ইসলাম জনি। জনি আখালিয়া বড়বাড়ী এলাকার শহীদ মিয়ার কলোনিতে বসবাস করত। এদিকে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে চার শিশুকে আটক করেছে পুলিশ। গত রবিবার বিকালে সংঘটিত এই ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। আটক ৪ শিশুকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।

 বিচারক মো. এনায়েতুল্লাহ তাদের (৪ শিশুকে) যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রেরণের নির্দেশ দেন বলে জানান আদালতের জিআরও এসআই মো. রাশেদুল।

বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. ইসরাত জেরিন জুঁই জানান, শিশুটির শারীরিক অবস্থা এবং ঘটনার বর্ণনা শুনে ধর্ষণের সন্দেহ হয়। পরে তাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম জানান, আটক ৪ শিশু জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে তাদের মধ্যে একজন ওই শিশুটিকে ধর্ষণ করেছে। অপর ৩ জন তাকে সহযোগিতা করেছে। এ ঘটনায় বাদীর দায়েরকৃত মামলায় আটক ৪ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

বাকেরগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত সরকার জানান, ভিকটিম এবং অভিযুক্ত সবাই শিশু। তাই প্রচলিত আইনে অভিযুক্তদের বিচার হবে।