শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

পিঁয়াজ বীজের অগ্নিমূল্যে বিপাকে কৃষক

পাবনা প্রতিনিধি

পিঁয়াজ বীজের অগ্নিমূল্যে বিপাকে কৃষক

পিঁয়াজের বীজ তুলছেন নারীরা -ফাইলফটো

পিঁয়াজের দামের প্রভাব পড়েছে এর বীজের বাজারেও। গত বছর যে পিঁয়াজ বীজ ১২০০-১৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে সেই বীজ এবার বিক্রি হচ্ছে ৪-৫ হাজার টাকায়। একই সঙ্গে বেড়েছে পিঁয়াজের কন্ধ বা গোটার দামও। এ অবস্থায় পিঁয়াজ আবাদ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন এই এলাকার কৃষকরা। পিঁয়াজচাষিরা জানান, ভালো দাম দেখে পাবনার বিভিন্ন এলাকার কৃষক পিঁয়াজ আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। গতবারের তুলনায় এবার প্রতি কেজি পিঁয়াজ বীজে দাম বেড়েছে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। কৃষকদের অভিযোগ, চাহিদা বেশি হওয়ার সুযোগ নিয়ে বীজ ব্যবসায় জড়িত একটি চক্র পিঁয়াজ বীজের দাম কৌশলে বাড়িয়ে দিয়েছে। জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পাবনা দেশের অন্যতম পিঁয়াজ উৎপাদনকারী জেলা হিসেবে পরিচিত। এই এলাকায় পিঁয়াজ আবাদ হয় দুই পদ্ধতিতে। একটি হলো মূলকাটা বা কন্ধ ও অপরটি হলো দানা বা হালি। মূলকাটা পদ্ধতিতে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে আবাদ করে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে পিঁয়াজ ঘরে তোলা হয়। এই পদ্ধতিতে অঙ্কুরিত পিঁয়াজ জমিতে রোপণ করা হয়। আর হালি পদ্ধতিতে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে পিঁয়াজ আবাদ করে মার্চ-এপ্রিলে ফসল ঘরে তোলা হয়। এই পদ্ধতিতে পিঁয়াজের চারা জমিতে রোপণ করা হয়। সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানায়, হালি পদ্ধতিতে পিঁয়াজ আবাদের জন্যই বীজ প্রয়োজন। কৃষকরা দুই উপজেলার উঁচু জমিতে ইতোমধ্যে পিঁয়াজ চারার জন্য বীজতলা তৈরি শুরু করেছেন। কিন্তু পিঁয়াজ বীজের অগ্নিমূল্যের জন্য কৃষকেরা বীজতলা তৈরি নিয়ে সংশয়ে আছেন। চড়াদামের বীজে পিঁয়াজ আবাদের পর উৎপাদন খরচ উঠবে কিনা তা নিয়েও ভাবছেন অনেকে। সাঁথিয়ার কাশিনাথপুরের বীজ ভান্ডার মালিক এমদাদুল হক জানান, গত বছরের তুলনায় এবার পিঁয়াজ বীজের দাম তিনগুণেরও বেশি। চড়া দামের কারণে বীজ বিক্রি কম হচ্ছে। সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার ও বেড়ার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আজমত আলী জানান, স্থানীয়ভাবে দুই উপজেলায় সামান্য পিঁয়াজ বীজ উৎপাদন হয়। চাহিদার বেশির ভাগ বীজই আসে রাজশাহী, ফরিদপুর আর ভারত থেকে। গত বছর শিলাবৃষ্টি হওয়ায় এবং কৃষকরা বীজের জন্য না রেখে পিঁয়াজ বিক্রি করায় সারা দেশে বীজ উৎপাদন কম হয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর