শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

দুটি ধর্ষণের ঘটনা শালিসে মীমাংসা!

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ার শেরপুরে শালিসে দুটি ধর্ষণ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের শিকার দুই নারীর ‘ইজ্জতের মূল্য’ নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ছাত্রীকে ধর্ষণ করায় অভিযুক্তকে ৯০ হাজার এবং গৃহবধূ ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা ও জুতাপেটার রায় দিয়ে তা কার্যকর করা হয়। পৃথক এ ধর্ষনের ঘটনা ঘটে শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ ও খামারকান্দি ইউনিয়নে। স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা ঘটে গত ৪ অক্টোবর দিবাগত রাতে। পরদিন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে এ ঘটনায় শালিস বসে। ওই শালিসি বৈঠকে উপস্থিত থাকা আব্দুল মোমিন বলেন, চেয়ারম্যানসহ অন্যরা বিচার করেছেন। অভিযুক্তের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা আদায় করে ভুক্তভোগী মেয়ের বাবাকে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৩০ হাজার টাকা বিভিন্ন খাতে ব্যয় করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান দবিবুর রহমান বলেন, ঘটনাটি আমার গ্রামের। তাই শুনেছি। আমি কোনো বিচার-শালিস করিনি। এমনকি সেখানে উপস্থিতও ছিলাম না। ধর্ষণের অপর ঘটনাটি ঘটে গত ১ অক্টোবর রাতে। পরদিন এ নিয়ে স্থানীয় সোলায়মান আলীর বাড়িতে শালিস বসে। বগুড়ার শিশু ও নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের এপিপি অ্যাড. রেজাউল করিম মজনু জানান, জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম্য মাতব্বররা ধর্ষণের বিচার করতে পারেন না। এমনকি এ ধরনের অপরাধের শালিস ও ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া দ-ণীয় অপরাধ। শেরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম আবুল কালাম আজাদ জানান, শিবপুর গ্রামের ঘটনার কথা শুনেছি। তারা থানায় অভিযোগ করতে আসার কথা। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্য ঘটনাটি সম্পর্কে জানা নেই।

সর্বশেষ খবর