রবিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

বিকাশ প্রতারণার ভয়ঙ্কর ফাঁদ

সাইফুল ইসলাম বেগ, বিশ্বনাথ (সিলেট)

কখনো বিকাশ কর্মকর্তা, কখনো এনজিও কর্মী সেজে গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র। এ ক্ষেত্রে তারা নানা কৌশল অবলম্বন করছে। প্রতারণার শিকার হয়েও কিছুই করার থাকছে না ভুক্তভোগীদের। জানা যায়, স্প্রতি বিকাশ প্রতারণার শিকার হন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বাউসী গ্রামের কৃষাণী পারভিন বেগম। তিনি এনজিও প্রতিষ্ঠান ‘সূচনা’র সদস্য। প্রতারকচক্র এশাধিক মোবাইল ফোন নাম্বার থেকে তার ব্যবহৃত নাম্বারে ঘটনার দিন রাত ৮টায় ফোন দেয়। নিজেকে ‘সূচনা’র কর্মী দাবি করে বলে, ‘হাঁস-মুরগি পালনের জন্য আগের মতো বিকাশের মাধ্যমে আপনাকে কিছু টাকা দেওয়া হবে। টাকা পাঠাতে আপনার বিকাশ পিন নম্বর লাগবে’। কথা মতো পিন নাম্বার দেওয়ামাত্র পারভিনের বিকাশ একাউন্ট থেকে ১২০০ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক। একইভাবে গ্রামের কৃষ্ণা রাণীর মোবাইলে ফোন দেয় প্রতারকরা। বিকাশ কর্মী পরিচয় দিয়ে জানায়, তার একাউন্ট সচল রাখতে তাদের কথা মতো বিভিন্ন কোড নম্বর দিতে। একপর্যায়ে পিন নম্বরের সঙ্গে ২১১ যোগ করতে বলায় তিনি যোগ করে ফলাফল জানিয়ে প্রতারণার শিকার হন। একই কায়দায় স্থানীয় পীরের বাজারের ব্যবসায়ী ফাহিম আবরার প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে খুইয়েছেন ৫ হাজার টাকা। শুধু এরাই নন, প্রতিদিন এভাবে বিশ্বনাথের বহু মানুষ গ্রাহক শিকার হয়েছেন বিকাশ প্রতারণার। পারভিন বেগম জানান, ‘সূচনা’র কথা বলায় আমি সরল বিশ্বাসে পিন নাম্বার দিয়েছি। আমার প্রশ্ন, আমি যে ‘সূচনা’র সদস্য তার ওরা জানে কি করে? কৃষ্ণা রাণী জানান, প্রতারণার শিকার হয়ে বিকাশ অফিসে ফোন করলে তারা কেবল পিন পরিবর্তন করার পরামর্শ দেন। এনজিও সংস্থা ‘সূচনা’র উপজেলার প্রকল্প সমন্বয়কারী মোসাব্বির রহমান বলেন, এটা স্থানীয় প্রতারক চক্রের কাজ। ‘সূচনা’র কেউ বিকাশের পিন চাওয়ার সুযোগ নেই। চাইলে তার চাকরি যাবে।

স্থানীয় বিকাশ এজেন্ট তাজুল ইসলাম, প্রতিদিন একাধিক গ্রাহক প্রতারণার শিকার হয়ে আমাদের কাছে আসেন। আমাদের কিছুই করার নেই, শান্তনা দেওয়া ছাড়া। বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মূসা বলেন, গত ৭ অক্টোবর একজন বিকাশ প্রতারণার শিকার হয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

সর্বশেষ খবর