রবিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

ফসল রক্ষায় বাঁশের চোঙা ফাঁদে সুফল

দিনাজপুর প্রতিনিধি

ফসল রক্ষায় বাঁশের চোঙা ফাঁদে সুফল

বিষটোপ, পলিথিনের নিশানা আর কলাগাছ পুঁতেও কূলকিনারা না পেয়ে জমির ফসল রক্ষায় এবার ‘বাঁশের চোঙা ফাঁদ’ দিয়ে ইঁদুর নিধনে সুফল পেয়েছেন কৃষকরা। চিরিরবন্দর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ধানখেতে কালো ইঁদুরের উপদ্রব দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় কৃষক দিশাহারা হয়ে এবার এই ‘বাঁশের চোঙা ফাঁদ’ ব্যবহার করছেন। কৃষকরা জানায়, ইঁদুর ধান গাছের গোড়া কেটে নষ্ট করায় দুশ্চিন্তার শেষ নেই। দুই সপ্তাহ আগেও ধানখেতে ইঁদুরের আলামত দেখে বিষটোপ, পলিথিনের নিশানা গেড়ে এবং কলাগাছ পুঁতে ইঁদুর তাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। এসব পদ্ধতি তেমন কাজে লাগছে না। এ অবস্থায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহমুুদুুল হাসান ভ্রাম্যমাণ ফসল ক্লিনিক চালুর মাধ্যমে স্থানীয় প্রযুক্তি (বাঁশের চোঙা ফাঁদ) ব্যবহার করে কিভাবে ইঁদুর নিধন করা যায়  সেই বিষয়টি নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করেন। আর এই বাঁশের চোঙা দিয়ে কিভাবে ফাঁদ তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেন। এরপর থেকে কৃষকরা শুরু করেন বাঁশের চোঙা ফাঁদ ব্যবহার।

আউলিয়াপুকুর ইউপির কয়েকজন কৃষক জানান, বাঁশের তৈরী চোঙা ফাঁদ দিয়ে গত ১০ দিনে প্রায় ২০০টি ইঁদুর মেরেছেন তারা। প্রতিদিন বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধানখেতে বিশেষ যন্ত্রটি একাধিক স্থানে বসিয়ে দিয়ে আসেন। পরদিন সকালে যান ফাঁদে আটকানো ইঁদুর খুলতে। বাঁশের চোঙাসহ ইঁদুর হাতে খেত থেকে আসা সাইতাড়া ইউপির জগৎনাথপুর এলাকার কৃষক মমিনুল ইসলাম বলেন, আমার চার বিঘা জমির ধানগাছ কেটে নষ্ট করেছে। কয়েক দিনে আমি ৪০টি ইঁদুর মেরেছি। একই এলাকার কৃষক রহিম উদ্দিন বলেন, গত ১০ দিনে ১৬টি ইঁদুর মেরেছি। উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, বাঁশের চোঙা ফাঁদ দিয়ে ইঁদুর নিধন প্রক্রিয়া অনেকটা কার্যকর। এ পদ্ধতি ব্যবহার করে অনেকেই সুফল পাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর