শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

পাঁচ সেকেন্ডের ফুটেজে শনাক্ত হত্যাকারী

১৩ সিসি ক্যামেরার প্রায় ৪০০ ঘণ্টার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

কুমিল্লা লালমাই উপজেলায় অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য শিশুকে খুন করা হয়। খুনের শিকার শিশু শাহ পরান (১৩) লালমাই উপজেলার বেতাগাঁও গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে। শাহ পরান স্থানীয় বড় চলুন্ডা ব্র্যাক স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির  ছাত্র। এ ঘটনায় পুলিশ মূল আসামিসহ চারজনকে গ্রফতার করে। লাকসাম থেকে বাগমারা সড়কের ১৩টি সিসি ক্যামেরার প্রায় ৪০০ ঘণ্টার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এ মামলার রহস্য বের করা হয়। পাঁচ সেকেন্ডের ফুটেজে মিশুকসহ শিশু  শাহপরান এবং খুনি নূর উদ্দিনকে চিহ্নিত করে পুলিশ। গতকাল কুমিল্লা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আজিমন্ডউল-আহসান বলেন, লালমাই উপজেলায় বেতাগাঁও গ্রামের  আবদুল মালেকের ছেলে শাহ পরান (১৩)। গত ১১ সেপ্টেম্বর শাহপরান তার বড় ভাই শাহাদাতের অটোরিকশাটি নিয়ে পাশের বাগমারা বাজারে রওনা হয়। শাহপরান আর বাড়ি ফিরে না আসলে চিন্তিত হয়ে পড়ে শাহপরানের বাবা-মা। এ নিয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। পরের দিন ১২ সেপ্টেম্বর ডাকাতিয়া নদীতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় শাহ্পরানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পরে লালমাই থানায় মামলা দায়ের করেন শিশুর পিতা আবদুল মালেক।  পুলিশ জানায়, শাহপরানের অটোরিকশা ভাড়া করে  লালমাই থানার জয়নগর গ্রামের দুধ মিয়ার ছেলে নুর উদ্দিন (২১)। পথিমধ্যে অটোরিকশা চালক শাহপরানকে থামিয়ে নুর উদ্দিন একটি দোকান থেকে সুতলী কিনে নেয়। এ সময় তার এক সহযোগী শহিদ উল্লাহকে নিয়ে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে নিয়ে যায়। পরে নুর উদ্দিন ও তার সহযোগী শহিদউল্লা মিলে শাহপরানকে নদীর পাড়ে নিয়ে সুতলী দিয়ে হাত-পা বেঁধে শ^াসরোধে হত্যা করে।

সর্বশেষ খবর