রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

আগাম ধানে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

আগাম ধানে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক

ঠাকুরগাঁওয়ে শুরু হয়েছে আগাম ধান কাটার উৎসব। সাধারণত অগ্রহায়ণে আমন ধান কৃষকের ঘরে ওঠে। কিন্তু এবার অনেক কৃষক আগাম জাতের আমন ধান আবাদ করেছে। এরই মধ্যে সেসব খেতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। পোকার আক্রমণ আর নানা রোগবালাইয়ের পরও এবার আমনের বাম্পার ফলন পাচ্ছে কৃষক। বর্তমানে ধানের মূল্য বেশি থাকায় লাভবান হওয়ার আশায় মুখভরা হাসি নিয়ে আগাম জাতের আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত এ জেলার কৃষক। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের পাঁচ উপজেলায় আমন মৌসুমে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমন ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দেশীয় উদ্ভাবিত স্বল্প জীবনকালের বিনা-৭, ব্রি-৩৩ ও বিভিন্ন প্রকার উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড ধানের চাষ হয়েছে মোট আবাদের শতকরা ১০ ভাগ অর্থাৎ ১৩ হাজার ২৬০ হেক্টর। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শিবগঞ্জ গ্রামের কৃষক নজরুল, রবি, রমজান আলী জানান, এ মৌসুমে ৮ বিঘা জমিতে বিনা-৭ জাতের ধানের চাষ করেছি। কাটা-মাড়াই শেষের দিকে। বিঘাপ্রতি ২২ থেকে ২৩ মণ ফলন হচ্ছে। গত বছরও একই জমিতে একই জাতের ধানের চাষ করে ফলন কম পেয়ে কম দামে বিক্রি করেছিলাম। এ বছর ফলন কিছুটা বেশি, দামও বেশি। তা ছাড়া এ বছর গবাদি পশুর খাদ্য খড়ের চাহিদাও বেশি, বাড়িতে ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে খড়। ফুল সিজনে (মৌসুমে) শ্রমিকের সমস্যা থাকলেও এখন শ্রমিকের সমস্যা অনেকটা কম। ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আফতাব বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষক ভালো ফলন পাচ্ছে। বর্তমানে বাজারে ধানের দাম বেশি। কৃষক যদি দেরিতে ধান বিক্রি করে তাহলে আরও ভালো দাম পাবে। তা ছাড়া আগাম ধান কাটার পর আবার একই জমিতে আগাম আলু ও তেল-জাতীয় ফসল সরিষার চাষ করা যাবে বলে আমি আশা করছি।’

সর্বশেষ খবর