বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

চুয়াডাঙ্গায় ছয় বছরে দ্বিগুণ হয়েছে আউশ আবাদ

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গায় ছয় বছরে দ্বিগুণ হয়েছে আউশ আবাদ

আউশ ধান চাষ ও গড় ফলনে রেকর্ড করেছে চুয়াডাঙ্গা। কম খরচ ও বৃষ্টিনির্ভর এই ধানচাষ করে এ বছর খুশি জেলার কৃষক। ফলনও হয়েছে বাম্পার। বাজারমূল্যও পাচ্ছেন ভালো। পাশাপাশি কুষ্টিয়ায় বেড়েছে আউশ আবাদ। গত ছয় বছরে জেলায় আউশ ধান চাষ দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফর সূত্রে জানা যায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এ জেলায় আউশ আবাদ হয়েছিল ২১ হাজার ৩২৫ হেক্টর জমিতে। ২০২০-২১ অর্থবছরে তা বেড়ে হয়েছে ৪৩ হাজার ১৭৩ হেক্টর। যা ছয় বছর আগের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে সদর উপজেলায় ১৫ হাজার ৬৮৫ হেক্টরে। এছাড়া আলমডাঙ্গায় সাত হাজার ৭৮৫, দামুড়হুদায় ১০ হাজার ৫৮৪ ও জীবননগরে নয় হাজার ১১৯ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষ হয়েছে।

কৃষি কর্মকর্তারা জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলা সমতলভূমি এবং মাঝারি উঁচু প্রকৃতির। এখানকার আবহাওয়া বৃষ্টিনির্ভর আউশ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এছাড়া আউশ মৌসুমে  খেতে ভূ-গর্ভস্ত পানি দিতে হয় না। ফলে খরচও কম। স্বল্প সময়ে ফসল পাওয়া যায়। খেত থেকে আউশ ধান কেটে নেওয়ার পরই কৃষকরা সেই জমিতে আগাম সবজি আবাদ করতে পারেন। এ সব সুবিধার জন্য এখানকার কৃষক আউশ চাষে বেশি আগ্রহী। দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, এ বছর ইটভাটার পতিত জমিতেও আউশ ধানের আবাদ হয়েছে। সঙ্গত কারণেই জেলায় আউশ আবাদ বেড়ে গেছে। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাসরুর জানান, বোরো ও আমনের চেয়ে কম সময়ে আউশ ধান ঘরে তোলা যায়। তাছাড়া কৃষককে চাষাবাদের জন্য প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে আউশ বীজ। ৫০ ভাগ ভর্তুকি মূল্যে ধান কাটা মেশিন দেওয়া হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আলী হাসান জানান, দেশে আউশের গড় ফলন (চালে) প্রতি হেক্টরে দুই দশমিক ৮ টন। চুয়াডাঙ্গায় তা তিন দশমিক ৪৭ টন। এমনিতেই চুয়াডাঙ্গা জেলা খাদ্যে উদ্বৃত্ত। তার পরও এ বছর জেলায় শুধু আউশই উৎপাদন হয়েছে প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার টন। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ হাজার টন বেশি।

সর্বশেষ খবর