শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

আগুনমুখায় স্পিডবোট ডুবি, নিখোঁজ ৫

সেন্টমার্টিনে আটকা শত শত পর্যটক

পটুয়াখালী ও কক্সবাজার প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার কোড়ালিয়া থেকে গলাচিপার পানপট্টি লঞ্চঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী একটি স্পিডবোট আগুনমুখা নদীতে ডুবে গেছে। এতে চালকসহ ১৩ যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও গত রাত ৮টা পর্যন্ত পাঁচ যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কলাপাড়া সার্কেল) আহম্মেদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমার জানা মতে স্পিডবোটে মোট ১৭ জন যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ১২ জন উদ্ধার হলেও পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা চলছে। এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গিয়ে আটকা পড়েছেন চার শতাধিক পর্যটক। মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হওয়ায় গতকাল পর্যটকরা ফিরতে পারেননি।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুর আহমেদ বলেন, ভ্রমণে আসা সেন্টমার্টিনে চার শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। তারা বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফিরতে পারেননি। কিন্তু গত বুধবার পর্যটকদের মাইকিং করে তাদের দ্বীপ ছাড়তে বলা হয়েছিল। অনেকেই কথা শোনেনি।

তিনি জানান, হঠাৎ গতকাল ভোর থেকে ঝড়োহাওয়া শুরু হলে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে সব নৌযানসহ জেলেদের সাগরে মাছ শিকারে না যেতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে দ্বীপে আটকাপড়া পর্যটকদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।

দ্বীপে পর্যটকরা নিরাপদে রয়েছে উল্লেখ করে টেকনাফ মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, সেন্টমার্টিনে আটকাপড়া পর্যটকদের খোঁজ-খবর রাখতে দ্বীপের পুলিশ ফাঁড়িকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউপি সদস্য হাবিব জানান, সাগর উত্তাল ও বৈরী আবহাওয়ায় কক্সবাজার থেকে জাহাজ না আসায় দ্বীপে চার শতাধিক পর্যটক অবস্থান করছেন। এর মধ্যে গত বুধবার ৩০০ জনের একটি পর্যটক দল তিন দিনের ভ্রমণে আসেন। তবে পর্যটকরা বিভিন্ন হোটেল-মোটেলে নিরাপদে আছেন। সাগর স্বাভাবিক হয়ে গেলে পর্যটকরা ফিরে যাবেন।

সর্বশেষ খবর