কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমিল্লার দেবিদ্বারে সড়ক সংস্কার কাজ শেষ হতে না হতেই পুনঃসংস্কার করা হচ্ছে। সড়কের সুড়কি উঠে, রড বেরিয়ে, ছোট-বড় গর্ত হয়ে পড়ায় যান চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। খোঁড়াখুঁড়িতে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। দুর্ভোগে পড়ছেন সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা। সূত্র জানায়, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ‘কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক’র কুমিল্লা ময়নামতি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কালামুড়া ব্রিজ পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্রে কাজটি সম্পন্ন করতে ২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাস সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। গত মাসের ৮ সেপ্টেম্বর কার্যাদেশের সময়সীমা শেষ হলেও এখনো সড়কের বুড়িচং উপজেলার কংশনগর বাজার ও দেবিদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ বাজার এলাকায় ঢালাইকৃত অংশের একপাশ চালু হয়নি। এদিকে দেবিদ্বার থানা গেইট থেকে মহিলা কলেজ পর্যন্ত ঢালাই করা অংশের ছয়টি প্যানাল ভেঙে গিয়ে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রডগুলো ভেসে উঠেছে। ভারী যানবাহন গর্তে পড়ার ঝাঁকুনিতে পাশর্^বর্তী বহুতল ভবনগুলোও কেঁপে উঠছে। রাতের অন্ধকারে রডের আঘাতে যানবাহনের টায়ার ফুটো এবং এক্সেল ভাঙার শব্দে মানুষ জেগে উঠেন। এতে যানজটও চরম আকার ধারণ করছে। সদ্য নির্মিত দেবিদ্বার থানা গেইট থেকে মহিলা কলেজ পর্যন্ত সড়কের উপর ঢালাইকৃত ভাঙা অংশের ছয়টি প্যানাল উঠিয়ে নতুন করে গত বুধবার থেকে কাজ শুরু করেছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মো. আহাদ উল্লাহ জানান, ঢালাইকৃত সড়কের অংশটি কমপক্ষে ২১ দিন ব্যবহার থেকে বিরত থাকলে সড়কটি দীর্ঘদিনের স্থায়িত্ব পেত। এ সড়কের কাছাকাছি বিকল্প সড়ক না থাকায়, সংস্কারে পরপরই যানবাহন চলাচল শুরু করে। সড়কের ষ্ট্রেংথ গেইন করতে না পারায় ভেঙে যায় ছয়টি প্যানাল। প্যানালগুলো পুনঃসংস্কার করতে হচ্ছে। তাছাড়া সড়কের আস্তরের নিচে কিছু নেই, লেয়ার করা হয়নি। তার উপর ভারী যানবাহন চলাচলে সংস্কারের কিছুদিনের মধ্যেই সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙে পূর্বের অবস্থানে চলে আসছে।
এ ব্যাপারে চলমান সংস্কার কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
