মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

ভুতুড়ে বিলের মিলছে না সমাধান, অতিষ্ঠ গ্রাহক

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলে অতিষ্ঠ লালমনিরহাটের আদিতমারী সাব জোনাল অফিসের আওতাধীন গ্রাহকরা। বিল সংশোধন করতে গিয়ে তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আদিতমারী সাব জোনাল অফিসে গিয়ে দেখা যায়, বিলিং শাখায় ভুতুড়ে বিল সংশোধন করতে আসা গ্রাহকের ভিড়। কেউ কৌশলে কমিয়ে নিতে পারলেও অনেকে বকাঝকা শুনে বাড়তি বিলই পরিশোধ করছেন। অভিযোগ আছে, টেবিলের পর টেবিল ঘুরেও মিলে না ভুতুড়ে বিলের সমাধান। জানা যায়, কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় আদিতমারী সাব জোনাল অফিস। এ অফিসের আওতায় আদিতমারীর আটটি ইউনিয়ন, কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ও চলবলা ইউনিয়নের গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছে। এই ১০ ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাহকের সম্প্রতি অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বিল এসেছে। যাদের ন্যূনতম বিল আসতো-এমন গ্রাহকেরও বিল দেওয়া হচ্ছে কয়েকগুণ। আদিতমারী উপজেলার নামুড়ি গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, করোনাকাল শুরুর দিকে প্রতি মাসে ৬০০-৭০০ টাকা বিল এসেছিল। গত কয়েক মাস ধরে ১১০০-১২০০ টাকা হারে বিল দিচ্ছি। অক্টোবর মাসে আরো বেড়ে বিল হয়েছে এক হাজার ৭৫০ টাকা। বিদ্যুৎ ব্যবহার আগের মতো থাকলেও বিল বেড়েছে তিন গুণ। জোনাল অফিসে সেবা নিতে আসা ইকবাল হোসেন নামে এক গ্রাহক জানান, করোনাকালে ৮-৯ মাস অফিসে বসে ইচ্ছামত বিল করে পাঠানো হয়েছে। এখন সেই সময়ের জমানো রিডিং চাপিয়ে দিচ্ছে গ্রাহকদের ওপর। এ ব্যাপারে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সাব জোনাল অফিসের বিলিং শাখার নাসরীন আক্তার বলেন, মিটার রিডাররা যা লিখে আনেন সেটার ওপরই বিল করা হয়। জনবল সংকটের কারণে প্রতিমাসে প্রতিটি মিটারে গিয়ে রিডিং লেখা সম্ভব হয় না। কোনো মাসে কম বা বেশি হলে পরের মাসে তা ঠিক হয়ে যায়। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আদিতমারী সাব জোনাল অফিসের ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম বলেন, মিটার রিডাররা অনেক সময় না গিয়েও বিল করে থাকেন। মিটার রিডিংয়ের চেয়ে বিল বেশি হলে তা সমাধান করে দেওয়া হয়। দায়িত্বের অবহেলার কারণে কয়েকজন মিটার রিডারকে শোকজ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর