কয়েক বছর ধরে সরকারি খাদ্য গুদামে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করায় লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। সেবা সহজীকরণ ও ধান সংগ্রহে অনিয়ম রোধে পাইলট প্রকল্প হিসেবে খাদ্য অধিদফতর গত আমন মৌসুমে দেশের ১৬ জেলার ১৬ সদর উপজেলায় কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করে। পরে অ্যাপের মাধ্যমে বেশ কিছু উপজেলায় বোরো সংগ্রহ করে সরকার। শেরপুর সদর উপজেলা গত বোরো সংগ্রহ মৌসুমে কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে ধান কিনে সফলতা অর্জন করে। তার ধারাবাহিকতায় এবার আমন মৌসুমে জেলার সব উপজেলায় কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে ধান কিনবে খাদ্য বিভাগ। ‘কৃষকের অ্যাপ’ ডাউনলোড করে এ অ্যাপের মাধ্যমে ধান বিক্রির জন্য কৃষক নিবন্ধন করতে পারবেন। নিবন্ধনের জন্য কৃষকের এনআইডি নম্বর, জন্ম তারিখ ও মোবাইল নম্বর লাগবে। নিবন্ধন করা যাবে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রথমে কৃষক নিবন্ধন করবেন যা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে আবেদন হিসেবে গণ্য হবে। আবেদনগুলো ডিজিটাল পদ্ধতিতে লটারির জন্য নির্বাচিত হবে। লটারিতে নির্বাচিত হলে কৃষক সংশ্লিষ্ট গুদামে ধান দিতে পারবেন। নির্বাচিত কৃষক কী পরিমাণ ধান, কোন তারিখে দেবেন তা ওই অ্যাপের মাধ্যমে ও মোবাইলে মেসেজে জানতে পারবেন। আবেদনে কৃষক সংশ্লিষ্ট উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (বিএস), ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা (ইউডিসি), উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সহায়তা নিতে পারবেন।
এ ছাড়া শেরপুর জেলা খাদ্য বিভাগ নিবন্ধনে সহযোগিতার জন্য উপজেলাভিত্তিক কল সেন্টার চালু করেছে। কৃষক নিজে বা যে কোনো ব্যক্তির সহায়তায় নিবন্ধন করতে পারবেন। শেরপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার বলেন, ‘কৃষক হয়রানি ছাড়াই ঘরে বসেই যাতে সহজে ধান বিক্রির সব তথ্য পেতে পারেন সে জন্য সরকার কৃষকের অ্যাপে ধান কেনা শুরু করেছে। জেলার সব কৃষকের নিবন্ধন ও ধান বিক্রিতে সবাইকে সহযোগিতা করার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’