শনিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

জীবনযুদ্ধে জয়ী সফল জয়ীতাদের গল্প

দিনাজপুর প্রতিনিধি

নিজের অদম্য মনোবল সম্বল করে চরম প্রতিকূলতাকে জয় করে জয়িতারা তৃণমূল থেকে সবার অলক্ষ্যে সমাজে নিজের জায়গা তৈরি করে সফলতা পেয়েছেন। এমনই দিনাজপুরের খানসামার তিন নারী, যারা সব ধরনের বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে জীবনে সফল এবং প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন ‘জয়িতা’ নামে।

এদের মধ্যে কুলছুমা বেগম সফল মা, স্বপ্না রাণী রায় অর্থনৈতিকভাবে এবং মুক্তারিনা বেগম নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কুলছুমা বেগম : খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউপির ইছামতি শাহপাড়া গ্রামের মৃত শুকর আলীর স্ত্রী কুলছুমা। অপ্রাপ্ত বয়সে তার বিয়ে হয়। বিয়ের ১৪ বছরের মধ্যে তিনি চার ছেলে ও দুই মেয়ের মা হন। বড় ছেলের বয়স ১৩/১৪ বছর বয়সে তিনি স্বামীহারা হন। তিনি জমি ও নিজের গহনা বিক্রি এবং প্রতিবেশীর কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে ধানের ভাপাই করে ঢেঁকিতে চাল করে বড় ছেলের সহায়তায় বাজারে বিক্রি করেন। একই সঙ্গে সন্তানদের পড়াশোনা করানোর জন্য তিনি হাঁস-মুরগি ও বর্গা পদ্ধতিতে গরু-ছাগল পালন করেন।

এভাবে তিনি সন্তানদের উচ্চ শিক্ষিত করেন। বর্তমানে কুলছুম বেগমের তিন ছেলে শিক্ষকতা, এক ছেলে প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি, বড় মেয়ে গৃহিণী ও ছোট মেয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকে চাকরি করেন। স্বপ্না রানী রায় : স্বপ্না রানী পাকেরহাট এলাকার জেলেপাড়ার ধীরাজ রায়ের স্ত্রী। ১০ বছর বয়সে তার ধীরাজ রায়ের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। চায়ের দোকানে শ্রমিকের কাজ করতেন তার স্বামী। স্বামীর নিজের কোনো বাড়ি না থাকায় তারা বাবার বাড়িতেই বাস করতেন। সন্তান হলে ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী স্বপ্না রানীকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এরপর তারা আশ্রয় নেন প্রতিবেশীর বাড়িতে। স্বামীর কাজের পাশাপাশি স্বপ্না কানের দুল বিক্রি করে মাত্র ৬০০ টাকা দিয়ে দোকান শুরু করেন।

সর্বশেষ খবর