বুধবার, ১১ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

রেলস্টেশন কিশোর অপরাধীদের আস্তানা

নারী যাত্রীরা উত্ত্যক্তের শিকার

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার জংশন স্টেশনে বেড়েছে ছিনতাই, পকেটমারের ঘটনা। প্রায়ই  উত্ত্যক্তের শিকার হচ্ছেন নারী যাত্রীরা। এ সব অপরাধীর বিরুদ্ধে স্টেশনের বিভিন্ন স্থানে মাদক সেবন, বিক্রির অভিযোগও পাওয়া গেছে। তাদের দৌরাত্ম্যে যাত্রীদের বিড়ম্বনা নিয়ে ট্রেনে যাতায়াত করতে হচ্ছে। স্টেশন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ৪ ও ৩ নম্বর প্লাটফর্ম এবং পদচারি সেতুর ওপর বসে আছে বখাটে প্রকৃতির ১০-১২ জন কিশোর। সাংবাদিক দেখেই দৌড়ে পালিয়ে যায় তারা। স্টেশনের পাশে জোড়া পুকুর এলাকায় মাদক সেবন করছিলেন দুই ব্যক্তি। তারা বলেন, অনেকেই এখানে বসে নেশা করে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে অর্ধশতাধিক কিশোর জড়ো হয় স্টেশন এলাকায়। এদের মধ্যে ৮-১০ জন উঠে মিটারগ্রেজ লাইনের পদচারির সেতুর ওপর। বাকিরা অবস্থান নেয় স্টেশনের বটতলি, পুরনো হিন্দু হোটেল ও জিআরপি থানার পিছনে। এ সব কিশোর অপরাধীর অধিকাংশ মাদকসেবী। স্টেশনের এক শ্রমিক (কুলি) বলেন, সুযোগ পেলেই ওরা যাত্রীদের ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। সাবেক স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম জানান, কয়েকদিন আগে এক যাত্রী তাকে জানিয়েছেন ট্রেনে ওঠার সময় তার ১৪ হাজার টাকাসহ ব্যাগ খোয়া গেছে। ব্যবসায়ী ময়েন উদ্দীন বলেন, তার এক আত্মীয়ের প্রায় ৩০ হাজার টাকা মূল্যের মুঠোফোন চুরি গেছে সান্তাহার স্টেশন থেকে। এখানে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই নিত্যদিনের ঘটনা। এ সব বিষয় জিআরপি পুলিশকে জানালে পুলিশ মামলা করতে বলে। বেশিরভাগ যাত্রী ঝামেলা এড়াতে ক্ষতি মেনে নিয়ে স্টেশন ত্যাগ করেন। অভিযোগ আছে, স্টেশন এলাকায় জিআরপি পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর দুজন করে সদস্য সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও অধিকাংশ সময় কাউকে পাওয়া যায় না। স্টেশনের ওয়াক্তিয়া মসজিদের কয়েকজন মুসল্লি অভিযোগ করেন, বখাটেদের অত্যাচারে নামাজ আদায় কঠিন হয়ে পড়ে। মসজিদের আশপাশে থেকে নামাজের সময় উচ্চৈঃস্বরে গান বাজনাসহ হৈ চৈ করে তারা। মেয়ে দেখলেই উত্ত্যক্ত করে। সান্তাহার জিআরপি থানার ওসি (পরিদর্শক) মনজের আলী জানান, বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর